দেবীস্তুতি
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গীতি-আলেখ্য।

১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ শে জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার ১৩ মাঘ ১৩৪৪), ৬.২১টা থেকে ৭.৫০টা পর্যন্ত, কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে নজরুলের রচিত 'দেবস্তুতি' নামক গীতি আলেখ্য প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যা করেছিলেন নজরুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন নিতাই ঘটক। এতে যন্ত্রসঙ্গীতে ছিল বাসন্তী যন্ত্রীকুঞ্জ। যন্ত্রসঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন রনজিত গুহ। এই অনুষ্ঠানের কণ্ঠসঙ্গীতে ছিলেন- গীতা মিত্র, অনিমা মুখোপাধ্যায়, মলিনা বসু, রত্নমালা সেন, গৌরী সেন, রেবা সোম, বাসন্তী দাসগুপ্তা, সন্ধ্যা সেন, তুষার পাল, উমা মিত্র, মনিকা সেন, কল্পনা হাগরি, অমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতা সেন, গৌরী মিত্র ও অন্যান্য।
     [সূত্র: The Indian listener. Vol III. No II, (7th January, 1938) Page 121]।

এই গীতিআলেখ্যের গানগুলো প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 'বেতার জগৎ' [১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ (রবিবার, ২ মাঘ ১৩৪৪)]-এর 'আমাদের কথা'  বিভাগে। এই বিভাগে 'দেবীস্তুতি' সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল [পৃষ্ঠা: ৪৫]। বেতারজগতের এই সংখ্যার প্রচ্ছদে নজরুলের ছবি ছাপা হয়েছিল। এই বিবরণের প্রথম পৃষ্ঠায় বলা হয়-

'হিন্দু মহাদেবী আদ্যাশক্তির বিভিন্ন কালে বিভিন্ন রূপের যে মহনীয় বিকাশ- সেই শ্রীশ্রী মহাকালীর প্রকট কালের ভাব-সঙ্গীত এই 'দেবীস্তুতি'। কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সঙ্গীতগুলো রচনা করেছেন। শাস্ত্রের উক্তিতে জগন্মাতার যে রূপ বর্ণিত হয়েছে- সেই রূপ অভিনব ভাবে জাগ্রত হয়েছে কবির ধ্যানলোকে। বাসন্তী বিদ্যাবীথির ছাত্রীরা এই দেবীস্তূতি গানগুলো গাইবেন এবং গানগুলির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করবেন স্বয়ং কবি নজরুল ইসলাম। দেবীস্তুতি অনুষ্ঠানের অধিবেশন হবে ২৭শে জানুয়ারী সন্ধ্যা ৪-৪৫ মিনিটে।

এই অনুষ্ঠানের প্রযোজক ছিলেন বাসন্তীবিদ্যাবিথীর কর্ণধর মনোরঞ্জন সেন। মনোরঞ্জন সেন তাঁর স্মতিচারণায় এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন- 'আমার বাসন্তী বিদ্যাবীথির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি (নজরুল) কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে আমার প্রচেষ্টায় জড়িত হন।

মনোরঞ্জন সেন-এর এই উক্তি গ্রহণ করা যায় না। কারণ ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কলকাতা বেতার কেন্দ্রে নজরুল গান ও আবৃত্তির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

দেবীস্তূতি গীতি-আলেখ্যে নজরুলের রচিত মোট ১১টি গান প্রচারিত হয়েছিল। নিচে এই গীতি-আলেখ্যের গানের তালিকা তুলে ধরা হলো-

  1. ও মা দনুজ-দলনী (হ্রীঙ্কার রূপিনী মহালক্ষ্মী)  [তথ্য]  
  2. ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা [তথ্য]  
  3. জয় মহাকালী,জয় মধু-কৈটভ [তথ্য]  
  4. জয় রক্তম্বরা রক্তবর্ণা জয় মা [তথ্য]  
  5. নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে [তথ্য]  
  6. নীলবর্ণা নীলোৎপল-নয়না [তথ্য]  
  7. প্রণমামী শ্রীদুর্গে নারায়ণী [তথ্য [পূর্বে প্রকাশিত]
  8. মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী [তথ্য]
  9. মাগো কে তুই,কার নন্দিনী [তথ্য]
  10. মায়ের আমার রূপ দেখে যা [তথ্য]
  11. সতী মা কি এলি ফিরে [তথ্য]
[সূত্র: নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪২৫/জুন ২০১৮]