বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তোরা শুনিস নি
কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি
পাঠ
ও পাঠভেদ:
তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি,
ওই যে আসে, আসে, আসে।
যুগে যুগে পলে পলে দিন-রজনী
সে যে আসে, আসে, আসে ॥
গেয়েছি গান যখন যত আপন মনে খ্যাপার মতো,
সকল সুরে বেজেছে তার আগমনী—
সে যে আসে, আসে, আসে ॥
কত কালের ফাগুন-দিনে বনের পথে
সে যে আসে, আসে, আসে।
কত শ্রাবণ-অন্ধকারে মেঘের রথে
সে যে আসে, আসে, আসে।
দুখের পরে পরম দুখে তারি চরণ বাজে বুকে,
সুখে কখন বুলিয়ে সে দেয় পরশমণি।
সে যে আসে, আসে, আসে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Have you not
heard his silent steps ? He comes, comes, ever comes.
Every moment and every age, every day and every night he comes, comes, ever
comes.
Many a song have I sung in many a mood of mind, but all their notes have always
proclaimed, ``He comes, comes, ever comes.
In the fragrant days of sunny April through the forest path he comes, comes,
ever comes.
In the rainy gloom of July nights on the thundering chariot of clouds he comes,
comes, ever comes.
In sorrow after sorrow it is his steps that press upon my heart, and it is the
golden touch of his feet that makes my joy to shine.
সূত্র:
রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নিপ্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩১৭ বঙ্গাব্দে গীতাঞ্জলি প্রথম সংস্করণ (১৩১৭)-এ। এরপর এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- গীতলিপি তৃতীয় ভাগ (১৩১৭), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩), সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪)
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের 'বিরহ' উপবিভাগে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা,
পর্যায়ের 'বিরহ' উপবিভাগে ১৩০
সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। এরপর
অখণ্ড
গীতবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে গানটি
পূজা,
পর্যায়ের 'বিরহ' উপবিভাগেই
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
রাগ-সিন্ধু বারোয়াঁ। তাল-যৎ (১৪ মাত্রা)। স্বরবিতান-৩৮’এর মূল স্বরলিপি অনুসারে এই রাগের সুরটি সিন্ধু ও বারোয়াঁ রাগের মিশ্রণে গঠিত।
রাগ-সিন্ধু বারোয়াঁ। তাল-তেওরা [ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি। স্বরবিতান-৩৮, পৃষ্ঠা ৯২-৯৩]
রাগ-পিলু। তাল-তেওরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৫৮ ।
রাগ-সিন্ধু-বারোয়াঁ
গ্রহস্বর: সা [স্বরবিতান-৩৮-এ গৃহীত উভয় স্বরলিপি অনুসারে।]
লয়: মধ্য।
সূত্র:
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) (বৈশাখ ১৪১৫), পৃষ্ঠা ৯৭।