তোর ভিতরে জাগিয়া কে যে,
তারে বাঁধনে রাখিলি বাঁধি।
হায় আলোর পিয়াসি সে যে
তাই গুমরি উঠিছে কাঁদি ॥
যদি বাতাসে বহিল প্রাণ
কেন বীণায় বাজে না গান,
যদি গগনে জাগিল আলো
কেন নয়নে লাগিল আঁধি ?।
পাখি নবপ্রভাতের বাণী
দিল কাননে কাননে আনি,
ফুলে নবজীবনের আশা
কত রঙে রঙে পায় ভাষা।
হোথা ফুরায়ে গিয়েছে রাতি,
হেথা জ্বলে নিশীথের বাতি-
তোর ভবনে ভুবনে কেন
হেন হয়ে গেল আধা-আধি ?।
মাসিক বসুমতী (ষষ্ঠ বর্ষ বৈশাখ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। গীতাষ্টকের ৬ষ্ঠ গান। পৃষ্ঠা ৪। [নমুনা]
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা (বৈশাখ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩৩৩
বঙ্গাব্দে,
হাতের অক্ষরে ছাপানোর উদ্দেশ্যে বিশেষ কালি দিয়ে,
এ্যালুমিনিয়ামের পাতের উপর বৈকালী নামকএকটি গ্রন্থে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করা
হয়েছিল। উক্ত পাণ্ডুলিপিতে গানটি ছিল।
কিন্তু ছাপা
আশানুরূপ
না হওয়ায়, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দে এর অংশ বিশেষ প্রকাশিত হয়।
১৩৫৯ বঙ্গাব্দে এই ক্ষীণতর অংশেরই পুনঃপ্রচার
হয়। ১৩৮১
বঙ্গাব্দে
রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে সম্পূর্ণ 'বৈকালী' প্রকাশিত হয়।
বৈকালীর ওই পাণ্ডুলিপির বিষয় বাদ দিলে, দেখা যায় 'মাসিক বসুমতী' এবং 'সঙ্গীতবিজ্ঞান
প্রবেশিকা' পত্রিকার 'বৈশাখ ১৩৩৪' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ২২ সংখ্যক গান
হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ে ১৪৯
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা ' তালে নিব্দ্ধ।
রাগ: আশাবরী-ভৈরবী। তাল-দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৫৭ ।
রাগ: আশাবরী। তাল-দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ১০০।
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।