তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া
তাই ভয়ে ঘোরায় দিক্বিদিকে,
শেষে অন্তরে পাই সাড়া ॥
যখন হারাই বন্ধ ঘরের তালা—
যখন অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা,
তখন অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে
শিকলে দাও নাড়া ॥
যত দুঃখ আমার দুঃস্বপনে,
সে যে ঘুমের ঘোরেই আসে মনে—
ঠেলা দিয়ে মায়ার আবেশ
কর গো দেশছাড়া।
আমি আপন মনের মারেই মরি,
শেষে দশ জনারে দোষী করি—
আমি চোখ বুজে পথ পাই নে ব’লে
কেঁদে ভাসাই পাড়া॥
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দের 'বার্ষিক শারদীয়া বসুমতী'
পত্রিকায়
'পরিত্রাণ' নাটকের সাথে প্রথম গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য,
১৩৩৬ বঙ্গাব্দে
'পরিত্রাণ' নাটকটি গ্রন্থকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ২৩ সংখ্যক গান
হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ে ১৫০
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
অঙ্গ: বাউল।
তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১,
পৃষ্ঠা: ৯৭।]
[
দাদরা তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]