বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যতবার
আলো জ্বালাতে চাই
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা
: ১৬৫
যতবার
আলো জ্বালাতে চাই,
নিবে যায় বারে বারে।
আমার
জীবন তোমার আসন গভীর অন্ধকারে
॥
যে লতাটি আছে
শুকায়েছে মূল— কুঁড়ি ধরে শুধু,
নাহি ফোটে ফুল,
আমার জীবনে তব
সেবা তাই বেদনার উপহারে
॥
পূজাগৌরব
পুণ্যবিভব কিছু নাহি,
নাহি লেশ—
এ তব পূজারি
পরিয়া এসেছে লজ্জার দীন বেশ।
উৎ সবে তার আসে
নাই কেহ,
বাজে নাই বাঁশি,
সাজে নাই গেহ—
কাঁদিয়া তোমায়
এনেছে ডাকিয়া ভাঙামন্দির-দ্বারে
॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 357 পাণ্ডুলিপিতে
গানটির নিচে, তারিখ উল্লেখ আছে- '২১ জ্যৈষ্ঠ/১৩১৭'। আর
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে গানটির নিচে,
স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' '২১ জ্যৈষ্ঠ/তিনধরিয়া'। উল্লেখ্য, ১৩১৭ বঙ্গাব্দের
৪ জ্যৈষ্ঠ তারিখে
রবীন্দ্রনাথ দার্জিলিং জেলার তিনধরিয়া যাত্রা করেন। তিনধরিয়া থাকাকালে
রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ মোট ১২টি গান ও কবিতা রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর
১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
পত্রিকা
-
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)।
কামোদ-একতালা।
পৃষ্ঠা ২০৩।
[নমুনা]
-
বঙ্গদর্শন (মাঘ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)।
শিরোনাম-বেদনা।
পৃষ্ঠা ৫২৮। [নমুনা]
-
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
১৩১৭ বঙ্গাব্দের ২০ ভাদ্রে প্রাকশিত
গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণে। এরপর ১১ মাঘ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ [বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
অনুষ্ঠিত একাশীতিতম (৮১)
মাঘোৎসবের
সায়ংকালীন অধিবেশনে গীত হয়েছিল। এই বছরেই বঙ্গদর্শন 'মাঘ ১৩১৭' সংখ্যায় গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর গানটি যে সকল গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো হলো-
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ),
গীতলিপি
চতুর্থ ভাগ (১৩১৭
বঙ্গাব্দ),
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১),
কাব্যগ্রন্থ
(অষ্টম খণ্ড
১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪
বঙ্গাব্দ)।
এ সকল
গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই
সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৩৮
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৬৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
- গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
[নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ
(চৈত্র ১৪১৪
বঙ্গাব্দ)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের
উল্লেখ দেয়া আছে
রাগ-কামোদ।
তাল-একতাল।
-
রাগ :
কামোদ।
তাল:
একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৪।
-
রাগ :
কামোদ।
তাল:
একতাল। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত
আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১২৯।
-
গ্রহস্বর:
রা।
-
লয়: মধ্য।