হৃদয়নন্দনবনে নিভৃত এ নিকেতনে
এসো হে আনন্দময়, এসো চিরসুন্দর ॥
দেখাও তব প্রেমমুখ, পাসরি সর্ব দুখ,
বিরহকাতর তপ্ত চিত্ত-মাঝে বিহারো ॥
শুভদিন শুভরজনী আনো এ জীবনে,
ব্যর্থ এ নরজনম সফল করো প্রিয়তম।
মধুর চিরসঙ্গীতে ধ্বনিত করো অন্তর,
ঝরিবে জীবনে মনে দিবানিশা সুধানিঝর ॥
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ললিতগৌরী-তাল ঝাঁপতালি। পৃষ্ঠা: ৪৬৮] [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থাবলী'- ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৭৮।] [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পূজা (উপবিভাগ: বিরহ ৪১)। পৃষ্ঠা: ৭৩ [নমুনা]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পূজা পর্যায় ১৬৮। উপবিভাগ: বিরহ ৪১।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩০০ বঙ্গাব্দ)। রাগিণী ললিত গৌরী। তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ২১৯ । [নমুনা]
বীণাবাদিনী
(শ্রাবণ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ)।
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল,
তবে স্বরলিপিকারের নাম
অনুল্লিখিত ছিল।
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি
প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল, ১১ মাঘ ১৩০০ বঙ্গাব্দ, [মঙ্গলবার
২৩ জানুয়ারি ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ]
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে অনুষ্ঠিত চতুঃষষ্ঠী
মাঘোৎসবে (৬৪)-এ। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩ বঙ্গাব্দ),
বীণাবাদিনী
(শ্রাবণ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ (অষ্টম খণ্ড
১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
তৃতীয় ভাগ (১৩১৩ বঙ্গাব্দ),
গান
(প্রথম সংস্করণ
সিটি বুক সোসাইটি,
১৩১৫ বঙ্গাব্দ)
ও (দ্বিতীয় সংস্করণ
১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও
কাব্যগ্রন্থ (দশম খণ্ড ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৪১
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৬৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
উড়ত বন্দন নব, বীর মেঁ কুমকুম
খেলত বসন্ত বনলাল গিরিবর ধর ॥
মলত সব অঙ্গ তন শ্যামশোভা ললত,
মন হুম ধন ধান্য সাজে আয়ে ললনা ॥
আয়ে বন বন সকল গোপী কি সুন্দরী
পায়ে রে তন ককন টীর পট আবরণ ।
মধুর সুর গীত গাওত সরম সুন্দরী,
চারু নীর তত মুনত, কুনত নূপুর চরণ ॥
এই গানটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কর্তৃক সংগৃহীত এবং উদ্ধৃত।
.....লক্ষণীয় যে,
এই গানেপ্রযুক্ত
রাগরূপের সকল প্রচলিত ললিতা-গৌরীর রাগরূপে পার্থক্য আছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত-গবেষণা
গ্রন্থমালা-৩য় খণ্ড/প্রফুল্লকুমার দাস।
পৃষ্ঠা ৪৪-৪৭
স্বরলিইপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন
[ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
৩য় ভাগ থেকে স্বরবিতান-২৩-এ গৃহীত হয়েছে।]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ রয়েছে ললিতা-গৌরী এবং ঝাঁপতাল।
রাগ : মিশ্র গৌড় সারং। তাল : ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
রাগ: ললিতা-গৌরী। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৬।
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।