বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুই
কেবল থাকিস সরে সরে
পাঠ ও পাঠভেদ:
তুই কেবল থাকিস সরে সরে,
তাই পাস নে কিছুই হৃদয় ভরে ॥
আনন্দভাণ্ডারের থেকে দূত যে তোরে গেল ডেকে-
কোণে বসে দিস নে সাড়া, সব খোওয়ালি এমনি করে ॥
জীবনটাকে তোল্ জাগিয়ে,
মাঝে সবার আয় আগিয়ে।
চলিস নে পথ মেপে মেপে, আপনাকে দে নিখিল ব্যেপে-
যে ক’টা দিন বাকি আছে কাটাস নে আর ঘুমের ঘোরে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
তথ্যানুসন্ধান
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
২৬০ উপবিভাগ:
আত্মবোধন
২।
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের
২৫
আশ্বিন [১১ অক্টোবর, ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ] কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে ফিরে
আসেন। ২৮ শে আশ্বিন থেকে ৫ কার্তিক পর্যন্ত তিনি এই গানটি-সহ মোট ৫টি গান
রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন ৫ই কার্তিক।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৫২ বৎসর ৬ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাব্লিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ৪৬ সংখ্যক গান। তুই বর্জিত। পৃষ্ঠা: ৬৪-৬৫] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৬৯।
স্বরবিতান চত্বারিংশ (৪০) খণ্ডের ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৭-৩৯ [নমুনা]
পত্রিকা:
আনন্দ-সঙ্গীত (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ-এর পরিশিষ্ট-ক বিভাগে গীতিমাল্য থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল গীতবিতানের প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের আত্মবোধন উপবিভাগের দ্বিতীয় গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২৬০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি:
স্বরলিপিকার: ইন্দিরাদেবী। [স্বরলিপিটি আনন্দ-সঙ্গীত থেকে স্বরবিতান-৪০-এ গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪০-এ গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল'-এ নিবদ্ধ।
অঙ্গ: বাউল। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৫৪]
অঙ্গ: বাউল। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৯৬।]
গ্রহস্বর-পা।
লয়-মধ্য।