বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ভোর হল বিভাবরী,
পথ হল অবসান
পাঠ
ও পাঠভেদ:
ভোর হল বিভাবরী, পথ হল অবসান—
শুন ওই লোকে লোকে উঠে আলোকেরই গান ॥
ধন্য হলি ওরে পান্থ রজনীজাগরক্লান্ত,
ধন্য হল মরি মরি ধুলায় ধূসর প্রাণ ॥
বনের কোলের কাছে সমীরণ জাগিয়াছে,
মধুভিক্ষু সারে সারে আগতকুঞ্জের দ্বারে।
হল তব যাত্রা সারা, মোছো মোছো অশ্রুধারা-
লজ্জা ভয় গেল ঝরি, ঘুচল রে অভিমান ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৭
বঙ্গাব্দ।? গানটি
রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের ৪৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। রাজা। সুরঙ্গমার গান।। পৃষ্ঠা ১৩৮-১৩৯] [নমুনা]
অখণ্ড গীতবিতান, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ২৭০। উপবিভাগ: জাগরণ ৭]
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২) খণ্ডের ৪৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১২৫-২৬। [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩১৭ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল রাজা প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এরপর গানটি যে সকল গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গান তৃতীয় সংস্করণ (১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এসকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে গানটি ধর্ম্মসঙ্গীত থেকে গৃহীত হয়েছিল। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল গীতবিতানের প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের জাগরণ উপবিভাগে সপ্তম গান হিসেবে। ১৩৪২ বঙ্গাব্দে অরূপরতন নাটকের পুনর্লিখিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে গানটি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২৭০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার। [পাণ্ডুলিপি থেকে স্বরবিতান-৩৭-তে গৃহীত হয়েছে।]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪২-তে গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি মাত্রা ৪।৪ ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: রামকেলী। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)] । পৃষ্ঠা: ৭১।
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী, তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৪।]
গ্রহস্বর-মা।
লয়- মধ্য।