জীবনে যত পূজা হল না সারা
জানি হে জানি তাও হয় নি হারা ॥
যে ফুল না ফুটিতে ঝরেছে ধরণীতে
যে নদী মরুপথে হারালো ধারা
জানি হে জানি তাও হয় নি হারা ॥
জীবনে আজো যাহা রয়েছে পিছে
জানি হে জানি তাও হয় নি মিছে।
আমার অনাগত আমার অনাহত
তোমার বীণাতারে বাজিছে তারা-
জানি হে জানি তাও হয় নি হারা ॥
'নিম্নলিখিত গানটি এইবার-কার প্রবাসীর প্রান্তে স্থান পাবে কি? গীতাঞ্জলিতে এ গান অত্যন্ত অশুদ্ধ আকারে বেরিয়েছে- এখনো প্রকাশ হয় নি- অর্থাৎ আশ্বিনের পূর্বে মণিলাল তাকে বাজারে দেবেনা। বিশুদ্ধ পাঠটিকে কোথাও রক্ষা করবার জন্যেই আমার এই ব্যাকুলতা।'
উল্লিখিত 'নিম্নলিখিত গান'টি হলো- জীবনে যত হলো পূজা...'
এই বিচারে গীতাঞ্জলি'র প্রথম সংস্করণে (শ্রাবণ ১৩১৭) পাঠটি পাঠভেদে আনা হলো না।
রাগ: ভৈরবী। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৯৩।]