বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর
পাঠ ও পাঠভেদ:
সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর―
আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর॥
কত বর্ণে কত গন্ধে কত গানে কত ছন্দে
অরূপ, তোমার রূপের লীলায় জাগে হৃদয়পুর।
আমার মধ্যে তোমার শোভা এমন সুমধুর॥
তোমায় আমায় মিলন হলে সকলই যায় খুলে,
বিশ্বসাগর ঢেউ খেলায়ে উঠে তখন দুলে।
তোমার আলোয় নাই তো ছায়া, আমার মাঝে পায় সে কায়া,
হয় সে আমার অশ্রুজলে সুন্দরবিধুর।
আমার মধ্যে তোমার শোভা এমন সুমধুর॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের দুটি পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়।
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
Ms. 357-তে
গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে, '২৭শে আষাঢ়
১৩১৭'। আর
Ms. 478-তে
গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৭ শে আষাঢ় গোরাই, জানিপুর'।
উল্লেখ্য, ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ২১শে
আষাঢ়,
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন
থেকে
কলকাতায় আসেন। ২২শে
আষাঢ় ভোরে শিলাইদহের উদ্দেশে রওনা দিয়ে রাত্রি বেলায় পৌঁছান। ২৮ আষাঢ়
পর্যন্ত শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ এবং এর আশপাশের এলাকায় ভ্রমণ করেন। এই
সময়ের ভিতরে তিনি মোট ৪টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে
এই গানটি রচনা করেন ২৭ শে আষাঢ়
[সোমবার, ১১
জুলাই ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ।]
তারিখে।
গীতাঞ্জলি
-তে তারিখের নির্দেশ আছে- 'জানিপুর। গোরাই
২৭ আষাঢ় ১৩১৭'।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল—
৪৯ বৎসর ২ মাস বয়সে।
[৪৯
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৩৩। পৃষ্ঠা: ২৯। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৬৫। উপবিভাগ: বন্ধু ৩৩। পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩১৭ বঙ্গাব্দের
২০
ভাদ্র, গানটি গীতাঞ্জলির অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই
বছরেই
গীতলিপি ৪র্থ ভাগে গানটি
সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১১ মাঘ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ [বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১
খ্রিষ্টাব্দ]-এ
একাশীতিতম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল।
পরে গানটি বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হয় মাঘ ১৩১৭
সংখ্যায় পরের মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয় 'চৈত্র
১৩১৭' সংখ্যা। ১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয় 'ধর্ম্মসঙ্গীত'
গ্রন্থে। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে গীতাঞ্জলি থেকে কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ডে
অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে 'গীতিচর্চ্চা' গ্রন্থের
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে সঞ্চয়িতা গ্রন্থে গীতাঞ্জলি
অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়ে 'সীমার প্রকাশ' শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয় গীতাঞ্জলি থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৬৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়। [গীতলিপি ৩য় ভাগ (১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ)থেকে স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬১) গৃহীত
হয়েছিল। হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রণেও (চৈত্র
১৪১৩) স্বরলিপিটি অবিকৃতভাবে রয়েছে। ]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
ভীমরাও শাস্ত্রী।।
সংগীত-গীতাঞ্জলি
(১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এই স্বরলিপিটি স্বরবিতানে গৃহীত হয় নি।
[ভীমরাও
শাস্ত্রী-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
রাগ:
ছায়ানট। তাল:
একতাল।
[স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ
(৩৭) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩)]
[ছায়ানট
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[একতাল-এ
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: ছায়ানট। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন। ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার। সাহিত্যলোক। পৌষ ১৩৯৪। ডিসেম্বর ১৯৮৭। পৃষ্ঠা : ১০২]
রাগ: ছায়ানট। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: ছায়ানট। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪১।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: পধা।
লয়: মধ্য।