আশা
[ভিন্ন বানান: আসা]

এই রাগ দুটি ঠাটে পাওয়া যায়। এর একটি
বিলাবল, অপরটি খাম্বাজ। নিচে উভয় প্রকার আশা'র বিবরণ দেওয়া হলো।

আশা (বিলাবল ঠাট)
উত্তর
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। আরোহণে গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত। আরোহণ বিলাবল ঠাটের রাগ দুর্গা'র মতো। কিন্তু অবরোহণ বিলাবল -রাগের মতো। এছাড়া মাড় রাগের একটি প্রকরণের সাথে এর মিল আছে।

আরোহণ:  স র ম প ধ র্স

অবরোহণ : র্স ন ধ প ম গ র স।

ঠাট : বিলাবল

জাতি : ঔড়ব-সম্পূর্ণ।

বাদীস্বর : মধ্যম

সমবাদী স্বর : ষড়্‌জ

অঙ্গ :  পূর্বাঙ্গ

সময় : রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
পকড় : ধ, প ধ প ম গ র, স র গ, র স

আশা (খাম্বাজ ঠাট)
উত্তর
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে খাম্বাজ ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এই রাগে ঋষভ দুর্বলভাবে এবং বক্রভাবে ব্যবহৃত হয়। এই রাগের অবরোহে শুদ্ধ নিষাদ ব্যবহৃত হওয়ার পরিবর্তে কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হয় এবং এই প্রয়োগের সূত্রে এই রাগটি বিলাবল ঠাটের আশা থেকে পৃথক হয়ে যায়।
 

    আরোহণ:  স র ম প ধ র্স

    অবরোহণ : র্স ণ ধ প ম গ র স।

    ঠাট : খাম্বাজ

    জাতি : ঔড়ব-সম্পূর্ণ।

    বাদীস্বর : ধৈবত

    সমবাদী স্বর : গান্ধার

    অঙ্গ :  উত্তরাঙ্গ

    সময় : রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
 


তথ্যসূত্র:
সঙ্গীত পরিচিতি (উত্তরভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ই ভাদ্র' '৮০। ২১ আগষ্ট '৭৩
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। নাথ ব্রাদার্স।  ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।