দেশকার
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। আরোহণে মধ্যম ও নিষাদ বর্জিত, অবরোহণ সম্পূর্ণ। এর প্রকৃতি শান্ত। এর স্বরবিন্যাসের সাথে পাহাড়ি ও ভূপালীর মিল আছে। দেশকার ও পাহাড়ির চলনের মধ্যে বিলাবল- অঙ্গের প্রভাব রয়েছে। পক্ষান্তরের ভূপালীর চলনের সাথে কল্যাণ অঙ্গের মিল আছে। এছাড়া দেশকারে ভূপালী অপেক্ষা গান্ধারের প্রয়োগ কম। এই কারণে ভূপালীতে গান্ধার বাদীস্বর কিন্তু দেশকারে গান্ধার সমবাদী স্বর। এই রাগের মন্দ্র সপ্তকে ঋষভের কণ্ যুক্ত হয়। এই রাগে পঞ্চমের উপর ন্যাস হয়। পঞ্চম স্বরটি দেশকারে ভূপালী অপেক্ষা বেশি ব্যবহৃত হলেও পাহাড়ি রাগের ন্যায় অতটা প্রবল নয়। উল্লেখ্য পাহাড়িতে সমবাদী স্বর পঞ্চম। দেশকারে মীড়ের ব্যবহার একটু বেশি। এই রাগের সাথে জয়েৎ কল্যাণের মিল পাওয়া যায়। এই রাগে ঋষভ দুর্বল।
আরোহণ: স র গ প ধ র্স
অবরোহণ : র্স ধ প গ র স
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব।
বাদীস্বর : ধৈবত
সমবাদী স্বর : গান্ধার
অঙ্গ : উত্তরাঙ্গ।
সময়
:
দিবা প্রথম প্রহর। মতান্তরে দিবা দ্বিতীয় প্রহর
পকড় : ধ প গ র স র ধ,
প গ র স
তথ্যসূত্র:
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড
কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
সঙ্গীত পরিচিতি (উত্তরভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ই ভাদ্র' '৮০। ২১
আগষ্ট '৭৩