জয়জয়ন্তী
উত্তর ভারতীয়
সঙ্গীত পদ্ধতিতে রাগ বিশেষ।
সঙ্গীতজ্ঞরা এই রাগকে
কাফি
না
খাম্বাজ
ঠাটের অন্তর্গত হবে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে থাকেন। এই রাগে দুই গান্ধার ও দুই
নিষাদ থাকায় এই রাগকে কেউ কেউ
কাফি
ঠাটের অন্তর্গত বলে বিবেচনা করে থাকেন। কিন্তু এই রাগে শুদ্ধ গান্ধার প্রবলভাবে
ব্যবহৃত হয়। সেই তুলনায় কোমল গান্ধার অবরোহণে দুর্বলভাবে ব্যবহৃত হয়। ফলে এই রাগের
চলন খাম্বাজকে অধিকতর সমর্থন করে। তা ছাড়া এই র জ্ঞ র হিসাবে ব্যবহারের সময় জ্ঞ-কে
ছুঁয়ে যায় মাত্র। অনেকে মনে করেন সুরট, বিলাবল ও গৌড়ের মিশ্রণে জয়জয়ন্তী
সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন খাম্বাজ, কাফি, নট ও দেশ রাগের মিশ্রণে এই রাগের
সৃষ্টি হয়েছে।
জয়জয়ন্তী দুটি অঙ্গে গাওয়া হয়ে থাকে। এই দুটি অঙ্গ হলো রাগেশ্রী ও গারা অঙ্গ, অপরটি
সুরট অঙ্গ। এর ভিতরে সুরট অঙ্গের জয়জয়ন্তী বেশি প্রচলিত।
এই রাগের বিশেষ সাঙ্গীতিক
স্বরগুচ্ছ হলো-
- 'র গ মপ ম
গর
জ্ঞরস' সুরশৈলীতে পাওয়া যায় 'জয়জয়ন্তী'।
- ন র্স, ন র্স র ণ ধ প গ ম
গর
- ম প ন স ধ ন
র্স ণ ধ প
- র্স ণ ধ প ম গ
র জ্ঞ র স
- ধ ন র
আরোহণ: স ণ্ ধ্ প্ র গ ম প ন র্স
অবরোহণ: র্স ণ ধ প, ধ গম, প গ, ম র, জ্ঞ র স
ঠাট:
কাফি/
খাম্বাজ
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: ঋষভ
সমবাদী
স্বর: পঞ্চম
ন্যাস স্বর
: র ম প
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়:রাত দ্বিতীয় প্রহরের অন্তিম ভাগ।
পকড় : স ধ্ ণ্, প্ র, গ র স
র জ্ঞ র স, ন্ স, ধ ণ্ র।
তথ্যসূত্র:
-
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড
কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
-
সঙ্গীত পরিচিতি
(উত্তরভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ই ভাদ্র' '৮০। ২১
আগষ্ট '৭৩
-
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। ১৫ এপ্রিল ১৯৮৩।
-
মগনগীত ও তান মঞ্জরী। দ্বিতীয় খণ্ড। চিন্ময় লাহিড়ী। ১ লা জানুয়ারি, ১৯৮৭।
-
সঙ্গীতশাস্ত্র (দ্বিতীয় খণ্ড)।
ইন্দুভূষণ রায়। এস চন্দ্র এন্ড কোং, কলকাতা। ১৯ আশ্বিন। ১৩৭৯ পৃষ্ঠা ৯৮-১০০