মালকোষ
অন্য নাম: কৈশিক, কৌশিক, মঙ্গলকৌশিক, মালকংস, মালকোশ, মালকৌশ, মালকৌশিক, মালবকৈশিক, মালবকৌশিক,

উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে ভৈরবী ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। ঋষভ ও পঞ্চম বর্জিত। প্রকৃতি গম্ভীর। দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে এই রাগের নাম হিন্দোলম।

পঞ্চদশ শতাব্দীর 'মানকুতুহল' এ মালকোষ সম্পর্কে লেখা আছে হিন্দোল, বসন্ত, জয়জয়ন্তী, পঞ্চম খট্টাগ, মারু, সারঙ্গ ও সাওনী মিশ্রণে মালকোষ সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রন্থে এই রাগের ঋতু হিসেবে বসন্তকালে বলা হয়েছে এবং পরিবেশনের সময় উল্লেখ করা হয়েছে- প্রাতঃকাল। বর্তমানে এই রাগ পরিবেশনের সময় হিসেবে বলা হয় রাত্রি তৃতীয় প্রহর (রাত্রি ১২ট থেকে ৩টা)।

এই রাগের প্রাচীন শ্রেণিকরণে মালকোষকে রাগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রাগের অধীনে ছিল রাগিণী, পুত্র ও পুত্রবধূ। যেমন-

ভরত মতে- মালকোষ রাগের অধীনে ৫টি রাগিণী, ৫টি পুত্র ও ৫টি পুত্রবধূকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

হনুমন্ত মত: এই মতে রাগের সংখ্যা ৬টি। এই শ্রেণিকরণে মালকোষকে কৌশিক নামে অভিহিত করা হয়েছে।

নারদের রচিত 'সঙ্গীত মকরন্দঃ' গ্রন্থে কৈশকী নামক রাগকে নপুংশক বলা হয়েছে।

পণ্ডিত রামামাত্য তাঁর স্বরমেল 'কলানিধি' গ্রন্থে এই রাগকে মালকৌশিক নামে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে- এই রাগটি মালবগৌড় রাগের 'জন্য রাগ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নারদীয় চত্বারিংশচ্ছত রাগ-নিরূপণম্ নামক গ্রন্থে এই রাগটিকে কৌশিক নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই গ্রন্থে দশটি রাগের মধ্যে এই রাগটিকে পঞ্চম স্থানে রাখা হয়েছে।

লোচন পণ্ডিত রচিত 'রাগ-তরঙ্গিণী' গ্রন্থে কৌশিক রাগের  একটি জন্য রাগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

 

আরোহণ: স জ্ঞ ম দ ণ র্স
অবরোহণ: র্স ণ দ ম জ্ঞ স
ঠাট: ভৈরবী
জাত: ঔড়ব-ঔড়ব।
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: রাত্রি তৃতীয় প্রহর।
পকড় : দ্, ণ্ স ম, জ্ঞম জ্ঞ স

তথ্যসূত্র: