শুদ্ধ কল্যাণ
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে  কল্যাণ ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এর প্রকৃতি গম্ভীর। ধারণা করা হয় কল্যাণ ও ভূপালী রাগের সংমিশ্রণে এই রাগটি সৃষ্টি করা হয়েছিল।  এর অবরোহ ভূপালীর মতো এবং অবরোহ কল্যাণের মতো। এই কারণে একে অনেকে ভূপকল্যাণ নামে অভিহিত করে থাকেন। আবার কেউ কেউ ভূপকল্যাণকে পৃথক রাগ হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন।

এর চলন ভূপালীর মতই। তবে ভূপালীতে আরোহ ও অবরোহে- মধ্যম ও ধৈবত বর্জিত। কিন্তু শুদ্ধ কল্যাণে অবরোহণে সব স্বরই ব্যবহার করা হয়। ফলে অবরোহণে এসে ভূপালী থেকে শুদ্ধ কল্যাণ কাঠামোগতভাবে পৃথক হয়ে যায়। এই রাগে 'গধপ, হ্ম গ' বিশেষ সাঙ্গীতিক স্বরগুচ্ছ হিসেবে প্রযুক্ত হয়। বিশেষ করে প দীর্ঘ করে হ্মগ মীড়পাত হয়।

আরোহণ: স র গ প ধ স
অবরোহণ: র্স ন ধ প, হ্ম গ, র স
ঠাট: কল্যাণ
জাতি: ঔড়ব (মধ্যম ও নিষাদ বর্জিত)-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: গান্ধার
সমবাদী স্বর: ধৈবত
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।বাদী
সময়: রাত প্রথম প্রহর।
প্রকৃতি: :
পকড় : গ, র সা, ন্ ধ্ প্. স, গ র, প র স।


তথ্যসূত্র: