রাগ টক্ককৈশিক
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে গ্রামরাগ বিশেষ। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ১৭১] এই রাগের প্রথম পরিচয় জানা যায়। এই গ্রন্থ মতে-ষড়্‌জগ্রামের ধৈবতী এবং মধ্যমগ্রামের মধ্যমা জাতি থেকে এই গ্রামরাগের উৎপত্তি হয়েছিল। উভয় গ্রাম থেকে এই রাগটি উৎপন্ন হলেও- একে ষড়্‌জগ্রামের গ্রামরাগ  হিসেবে গৃহীত হয়েছে। কারণ এই রাগে চতুঃশ্রুতিক পঞ্চম ব্যবহৃত হয়।

বৃহদ্দেশী গ্রন্থে [পৃষ্ঠা ১৭১]  বর্ণিত এই গ্রামরাগের পরিচিতি অনুসরণে নিচে রাগ পরিচিতিটি তুলে ধরা হলো-

টক্ককৈশিক রাগের পরিচিত

গ্রাম: ষড়্‌জ গ্রাম
রাগ প্রকৃতি:  গ্রামরাগ
রাগ-উৎস:  ষড়্‌জগ্রামের ধৈবতী এবং মধ্যমগ্রামের মধ্যমা জাতি থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ [এই রাগে অন্তর গান্ধার ও কাকলী নিষাদ ব্যবহৃত হয়। বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ১৭১] টক্ককৈশিক গ্রাম রাগের প্রসঙ্গে কশযপের অভিমত ছিল- নিষাদ এবং গান্ধারের বিলোপে এই রাগটি ঔড়ব শ্রেণির রাগে পরিণত হয়।]
অংশস্বর: ধৈবত
গ্রহস্বর: ধৈবত
ন্যাস স্বর: ধৈবত
মার্গ: চিত্র, বার্তিক ও দক্ষিণ
রস: বৃহদ্দেশী মতে এই রাগ- 'বিভৎস রসে এর প্রয়োগ হয় এবং উৎসবের বিনিয়োগ হয়'। উদ্ভটনাট্যে কামগ্রস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে বা কঞ্চুকি প্রবেশে এই রাগের ব্যবহার রয়েছে।

সঙ্গীতরত্নাকর থেকে এর আক্ষিপ্তিকা তুলে ধরা হলো-

এই গ্রামরাগের অধীনস্ত তিনটি ভাষারাগ হলো-মালবা, ভিন্নললিতা ও দ্রাবিড়ী।
তথ্যসূত্র: