রা
Ra

মিশরে পৌরাণিক কাহিনি মতে- সূর্য দেবতা। এঁর দেহের আকার ঈগলের মতো। এঁর মাথার উপরে উদীয়মান সূর্য এবং এর সাথে রয়েছে সাপের ছবি।

রা এর সৃষ্টি নিয়ে একাধিক মতামত পাওয়া যায়। যেমন-
রা-এর চোখ ও অশ্রু: মিশরীয় পৌরাণিক কাহিনিগুলোতে রা-এর চক্ষু একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যেমন-

প্রতিদিন ভোরে যখন নু থেকে সূর্য দেবতা রা জন্মগ্রহণ করেন, তখন মায়েৎ সেখানে উপস্থিত হন এবং সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেন। এই কারণে তিনি নিষ্ঠার সাথে মায়েৎ-এর বিধি মান্য করা হয়।

অন্যমতে সূর্য প্রতিটি ভোরে তাঁর বজরায় চড়ে আকাশ পথে পশ্চিম দিকে রওয়ান দেন।  সন্ধ্যায় রা-এর বজরা পাতালে প্রবেশ করে এবং ভোর বেলা তিনি তার উদয়-স্থানে অপেক্ষা করেন। এই সময় তাঁর বজরা রক্ষণাবেক্ষণ করেন পূর্ব পশ্চিম দিকের অভিভাবক আকের

তিনি শাসন কার্য সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য, তাঁর রাজ্যকে ১২টি প্রশাসনিক বিভাগ তৈরি করেছিলেন। এই ১২টি প্রদেশ শাসনের জন্য তিনি তাঁর পুত্র শু-কে সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

একবার সাপ এপিপ রা-কে তাঁর দিনের যাত্রার শুরুতে (সূর্যোদয় কাল) আক্রমণ করে হত্যা করতে উদ্যত হন। ফলে উভয়ের ভিতরে ঘোরতর যুদ্ধ হয়। এই সময় রা বিড়াল বা সিংহের ধারণ করে এপিপের সাথে যুদ্ধ করেন। এবং শেষ পর্যন্ত এপিপকে পরাজিত করে তাঁর শিরোশ্ছেদ করেন।


সূত্র: