দেবসেনা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান
 | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- প্রজাপতির কন্যা। এর অপর বোনের
নাম দৈত্যসেনা। এই কন্যার প্রতি কেশী নামক দানব অনুরক্ত ছিলেন। কালক্রমে দৈত্যসেনা কেশীকে পছন্দ করতেন। এই সূত্রে কেশী দৈত্যসেনাকে অপহরণ করে বিবাহ করেন। কিন্তু দেবসেনা কেশীকে পছন্দ করতেন না। এই কারণে কেশী দেবসেনাকে অপহরণের চেষ্টা করতে থাকেন। এই অবস্থায় দেবসেনা মানসপাহাড়ে (মানসসরোবরে) সখিদের নিয়ে বিহার করার সময়, কেশী তাঁকে অপহরণের চেষ্টা  করেন। এই সময় ইন্দ্র কেশীকে বাধা দেন। ফলে উভয়ের ভিতরে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে কেশী পরাজিত হয়ে পলায়ন করলে, ইন্দ্র দেবসেনার পরিচয় জানতে চান। ইন্দ্রের কাছে দেবসেনা নিজের পরিচয় দেন এবং তিন ইন্দ্রে কাছে মহাবল বীরপুরুষ তাঁর স্বামী প্রার্থনা করেন। তিনি তাঁর প্রার্থিত স্বামীর গুণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, এই পুরুষ হবেন যুদ্ধে দেব, দানব, যক্ষ, কিন্নর, উরগ, রাক্ষস ও দুষ্ট্ দৈত্যের বিরুদ্ধে অপরাজেয়। ইন্দ্র দেবসেনার কাঙ্ক্ষিত এরূপ কোনো পুরুষ খুঁজে পেলেন না। এরপর ইন্দ্র এই কন্যার স্বামী কে হবে এই প্রশ্ন নিয়ে ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা এই কন্যার স্বামী হিসেবে নির্ধারণ করেন কার্তিকেয় (স্কন্ধ)-কে। উল্লেখ্য কার্তিকেয় তখনও জন্মগ্রহণ করেন নাই। পরে কার্তিকেয়ের জন্ম হলে, দেবসেনার সাথে তাঁর বিবাহ হয়।