একলব্য
পদ: বিশেষ্য

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { যোদ্ধা | হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

 

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- এঁর পিতার নাম ছিল হিরণ্যগর্ভএকলব্য গুরুভক্তির জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন

মহাভারতে আছে- একবার পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণের কাছে অস্ত্র শিক্ষার জন্য যান
নিষাদের পুত্র হিসাবে নীচ জাত বিবেচনায় দ্রোণ তাঁকে শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন এরপর একলব্য একাকী বনে গিয়ে, দ্রোণের কাঠের মূর্তি স্থাপন করে যোগবলে ধনুর্বিদ্যার অনুশীলন শুরু করেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই ইনি ধনুর্বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন এই অনুশীলনের দ্বারা ইনি অর্জুনসহ দ্রোণের অপরাপর শিষ্যদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ হয়ে উঠেছিলেন
 

একবার কুরু-পাণ্ডবেরা মৃগয়ায় এলে, তাঁদের একটি কুকুর ঘুরতে ঘুরতে একলব্যের আশ্রমে উপস্থিত হয় জটাধারী ও গাছের বাকল পরিহিত একলব্যকে দেখে উক্ত কুকুরটি চিৎকার করতে থাকলে, একলব্য একসাথে সাতটি বাণ নিক্ষেপ করে কুকুরটির কণ্ঠরোধ করে দেয় এরপর কুকুরটি কুরু-পাণ্ডবদের কাছে ফিরে এলে, রাজকুমাররা এরূপ বাণনিক্ষেপের কৌশল দেখে চমৎকৃত হন এরপর রাজকুমারেরা এই বাণ নিক্ষেপকারীর অনুসন্ধান করতে করতে একলব্যের আশ্রমে আসেন এঁরা একলব্যের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, একলব্য নিজেকে নিষাদপুত্র হিরণ্যধনুর পুত্র ও দ্রোণাচার্যের শিষ্য হিসাবে পরিচয় দেন এরপর অর্জুন দ্রোণাচার্যের কাছে ফিরে এসে এই বৃত্তান্ত জানালে, দ্রোণাচার্য একলব্যের কাছে আসেন এরপর দ্রোণাচার্য অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব দানের জন্য গুরু দক্ষিণা হিসাবে একলব্যের কাছে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল প্রার্থনা করেন একলব্য তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে গুরুকে দক্ষিণা দেন