হংস (পৌরাণিক, হিন্দু)
এই নামে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে অনেকগুলো চরিত্র পাওয়া যায়। যেমন–
১.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
হিন্দু দৈবসত্তা
|
দৈবসত্তা
|
আধ্যাত্মিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
সূর্যদেবতার অপর নাম।
[সূর্য
[পৌরাণিক, হিন্দু]]
২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}
২.১. হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, শাল্বনগরে ব্রহ্মদত্ত নামক এক রাজা পুত্রলাভের জন্য দশ বৎসর মহাদেবের আরাধনা করেন। এতে মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে স্বপ্নে রাজাকে বর দেন যে, তাঁর দুই রানির গর্ভে দুটি পুত্র জন্মগ্রহণ করবে। মহাদেবের বর অনুসারে দুই রানি দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এই দুই পুত্রের নাম রাখা হয় যথাক্রমে– হংস ও ডিম্বক।
হংস ও
ডিম্বক বড়
হয়ে–
হিমালয়ে গিয়ে
মহাদেবের
তপস্যা করতে থাকেন।
মহাদেব
এঁদের আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দান করেন যে,
এই দুই ভাই অসুর,
রাক্ষস,
গন্ধর্ব ও দানবদের অবধ্য হবে ও সমস্ত রুদ্রাস্ত্র এঁদের আয়ত্তে থাকবে।
এঁরা রাজ্যে
ফিরে এসে একবার মৃগয়ায় যান।
সেখানে এরা দুর্বাসার সাথে দুর্ব্যবহার করলে,
দুর্বাসা এঁদের অভিশাপ দেন।
ফলে,
এঁরা
দুইজন দুর্বাসার সকল সামগ্রী তছনছ করে দেন।
এরপর
দুর্বাসা কৃষ্ণের কাছে এর প্রতিবিধান প্রার্থনা করেন।
কৃষ্ণ দুর্বাসার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর কিছুদিন পর,
হংসের পিতার রাজসূয় যজ্ঞের জন্য এরা
কৃষ্ণের
কাছে কর দাবী করেন।
কৃষ্ণ কর দিতে অস্বীকার করলে,
উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়।
যুদ্ধে
বলরামের
হাতে হংস নিহত হলে,
তাঁর ভাই
ডিম্বক
যমুনা নদীতে আত্মহত্যা করেন।
৩.২. হিরণ্য কশিপুর জনৈক পুত্রের নাম। এর অপর নাম ছিল ষড়গর্ভ।
৩.৩ সাধ্যার বারটি ছেলের একটি।
৩.৪ ব্রহ্মার বাহন হংস। দক্ষকন্যার গর্ভে এর জন্ম হয়েছিল। মহাদেব কর্তৃক দক্ষযজ্ঞ ধ্বংসের সময় ইনি ব্রহ্মাকে ফেলে রেখে পলায়ন করেছিলেন। ফলে ব্রহ্মা তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। পরে হংস রেবা নদীর তীরে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে শাপমুক্ত হয়েছিলেন।