হিরণ্যাক্ষ
পদ: বিশেষ্য

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { অসুর | হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

 

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- মহর্ষি কশ্যপের ঔরসে দিতির গর্ভে হিরণ্যকশিপু ও হিরণাক্ষের জন্ম হয় কথিত আছে, বৈকুণ্ঠে বিষ্ণুর জয় ও বিজয় নামে দুজন দ্বাররক্ষক ছিলেন একদিন সনন্দাদি ঋষিগণ বিষ্ণুলোকে আসেন কিন্তু ঋষিদের অদ্ভুত মূর্তি দেখে এই দুই দ্বাররক্ষক বিষ্ণুপুরীতে ঢুকতে বাধা দেন এত ঋষিরা অপমানিত হয়ে, তাঁদেরকে অসুরযোনি প্রাপ্ত হওয়ার অভিশাপ দেন অভিশপ্ত এই দুজন স্বর্গ থেকে বিচ্যুত হতে থাকলে, দয়া পরবশ হয়ে ঋষিরা পুনরায় বর দেন যে এঁরা তিন জন্ম পরে শাপ মুক্ত হবেন এই দুজনের প্রথম জন্মে হয় হিরণ্যকশিপু ও হিরণাক্ষ হিসাবে দ্বিতীয়বার জন্ম হয় রাবণ ও কুম্ভকর্ণ হয়ে এবং তৃতীয়বার জন্ম হয় শিশুপাল ও দন্তবক্র হয়ে

একদিন দিতি সন্ধ্যাকালে কামাতুরা হয়ে কশ্যপের কাছে এসে সন্তান প্রার্থনা করেন ঋষি স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করে বলেন যে- তোমার চিত্ত অপবিত্র ও কামাতুরা এই জন্য তোমার দুটি অধম পুত্র হবে সে সময় দিতি প্রার্থনা করেন যে, তাঁর এই পুত্র যেন বিষ্ণু কর্তৃক নিহত হয় কশ্যপ সেই বরই দিলেন দিতির শত বৎসর গর্ভধারণের পর হিরণ্যকশিপু ও হিরণাক্ষের জন্ম হয় এরা দুজনই অত্যন্ত অত্যাচারী হয়ে উঠলে হিরণাক্ষ বরাহরূপী বিষ্ণু কর্তৃক নিহত হন