ঐরাবত
হিন্দু পৌরাণিক হাতি।
সমুদ্রমন্থনকালে
সমুদ্র থেকে
প্রথমে
চন্দ্রের
উদ্ভব হয়। এরপর ঘৃতরূপী সাগর থেকে লক্ষ্মীদেবী এবং সুরাদেবী
উত্থিতা হন। এরপর উৎপন্ন হয়
উচ্চৈঃশ্রবা
নামক অশ্ব। এরপর
উৎপন্ন কৌস্তভমণি
বিষ্ণুর বক্ষস্থলে স্থাপিত হয়।
লক্ষ্মী, সুরাদেবী,
চন্দ্র ও
উচ্চৈঃশ্রবা
আকাশমার্গ অবলম্বন করে দেবতাদের পক্ষে চলে গেলেন। এরপর
ধন্বন্তরি
অমৃতপাত্র হাতে
নিয়ে উত্থিত হন। এই সময় দানবরা 'এই অমৃত আমার' বলে হট্টগোল শুরু করে। এরপর
উদ্ভব হয় ঐরাবত নামক হাতি। ইন্দ্র এই হাতির অধিকার গ্রহণ করেন।
[সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব।
সপ্তদশ-অষ্টাদশ অধ্যায়]
দেবতা
ও অসুরদের
সমুদ্রমন্থনকালে এই হাতি সমুদ্র থেকে উত্থিত হয়েছিল।
দেবরাজ
ইন্দ্র নিজের
বাহনরূপে এই হাতিকে গ্রহণ করেছিলেন।
ভগীরথ তপস্যার দ্বারা
গঙ্গা
নদীকে স্বর্গ থেকে মর্তে আনার সময়
মহাদেব উক্ত জলরাশিকে জটায় ধারণ করে মর্তে
প্রবাহিত করেন।
এই সময় ঐরাবত আপন শক্তির
অহংকারে
গঙ্গার প্রবাহকে ধারণ করতে অগ্রসর হলে,
গঙ্গার প্রবল স্রোতে ঐরাবত ভেসে যায়।
পরে গঙ্গা তাঁকে কৃপা
করে রক্ষা করেন।
এর স্ত্রীর নাম ছিল ঐরাবতী।
এর অপর নাম অভ্রমাতঙ্গ
বা অব্ভ্রামাতঙ্গ।