চ্চৈঃশ্রবা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| পৌরাণিক প্রাণী |  হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান
 | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক ঘোড়া। মহাভারতে একে বলা হয়েছে অতুলতেজা।

অমৃতলাভের উদ্দেশ্য দেব-দানবেরা
সমুদ্রমন্থন করে। এই মন্থনের শুরুতে সমুদ্র থেকে চন্দ্রের উদ্ভব হয়। এই সময় সমুদ্রে জল পর্যায়ক্রমে ক্ষীর থেকে ঘৃতে পরিণত হয়। এই অবস্থায় ঘৃত থেকে লক্ষ্মীদেবী এবং সুরাদেবী উত্থিতা হলেন।  এরপর উৎপন্ন হলো উচ্চৈঃশ্রবা নামক ঘোড়া। সমুদ্র থেকে উত্থিত হওয়ার পর উচ্চৈঃশ্রবা আকাশমার্গ অবলম্বন করে দেবতাদের পক্ষে চলে যায়। পরে
এই ঘোড়ার অধিকার নিয়েছিলেন দেবরাজ
ইন্দ্র
        [সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব। অষ্টাদশ অধ্যায়]


উচ্চৈঃশ্রবার গায়ের রঙ ছিল সাদা।  একবার উচ্চৈঃশ্রবার লেজের বর্ণ নিয়ে কশ্যপের  দুই স্ত্রী কদ্রু বিনতা মধ্যে বিতর্ক উপস্থিত হয়। এই তর্কে কদ্রু দাবি করেন অশ্বের লেজ কালো ও এবং বিনতা বলেন সাদা। এই বিষয়ে উভয়ই নিজ নিজ দাবিত অনড় থাকলে,  পরের দিন এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়ই শর্ত সাপেক্ষে রাজী হন। শর্তটি ছিল- এই তর্কে যিনি জয়ী হবেন, তাঁর অধীনে অপরজনকে দাসত্ব করতে হবে।

বাড়ি ফিরে
কদ্রু তাঁর নাগপুত্রেদের বলেন যে, আগামীকাল যখন উচ্চৈঃশ্রবার লেজের রঙ পরীক্ষা করা হবে, তখন নাগরা যেন, উচ্চৈঃশ্রবার লেজে জড়িয়ে থাকে। যাতে উচ্চৈঃশ্রবার লেজের বর্ণ কালো দেখায়। মায়ের এই আদেশ যে সকল নাগ অস্বীকার করে, কদ্রু তাদের অভিশাপ দিয়ে বলেন যে, মাতৃআদেশে লঙ্ঘনকারী নাগেরা পাণ্ডুবংশীয় জনমেজয়ের সর্পসত্রে অগ্নিদগ্ধ হবে।

 

কদ্রু বিনতার যখন উচ্চৈঃশ্রবার লেজের রঙ পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হন, তখন কদ্রু আদেশ মেনে কিছু নাগ উচ্চৈঃশ্রবার লেজে জড়িয়ে থাকে। এর ফলে দূর থেকে উচ্চৈঃশ্রবার লেজের রঙ কালো দেখায়। এর ফলে শর্তানুসারে বিনতা কদ্রু দাসীতে পরিণত হয়।
       
    [সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব। বিংশ অধ্যায়]