ধন্বন্তরি
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ব্যক্তিবিশেষ
|
দৈব সত্তা
|
হিন্দু
পৌরাণিক সত্তা
|
ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা |
পৌরাণিক সত্তা |
কাল্পনিক সত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
কর্মক্ষমতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- ইনি ছিলেন দেবতাদের
চিকিৎসক।
একবার
সুমেরু দেবতাদের
মন্ত্রণাসভা বসে। এই সভায় অমৃতলাভের বিষয় নিয়ে দেবতারা আলোচনা করছিলেন। বিষয়টি অবগত
হয়ে
বিষ্ণু
ব্রহ্মার
কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে
সমুদ্রমন্থনেরবিষয়টি অনুমোদিত হয়।
এরপর দেবতারা
সমুদ্রমন্থনের উদ্যোগ নেয়।
সমুদ্রমন্থনের
জন্য দেবতারা
মন্দরপর্বতকে
মন্থন দণ্ড হিসেবে নির্বাচন করেন।
অনন্তনাগ এই পর্বত
উত্থিত করে সমুদ্রে নিয়ে যান। এরপর এই নাগ নিজকে রজ্জু হিসেবে মন্দরপর্বতকে জড়িয়ে
ধরনে। পরে অমৃতলাভের জন্য দেবতাদের সাথে দানবরা যুক্ত হয়। এরপর সমুদ্রমন্থনের সূত্রে
অমৃতের ভাণ্ড হাতে ধন্বন্তরি সমুদ্র থেকে উত্থিত হন।
[সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব।
সপ্তদশ-অষ্টাদশ অধ্যায়]
পরে তিনি দেবতাদের চিকিৎসক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
বিষ্ণু এঁকে অব্জদেব নামে
অভিহিত করেন। দেবতাদের পরে এঁর জন্ম বলে ইনি যজ্ঞভাগ থেকে বঞ্চিত হন। দ্বাপর যুগে
তিনি কাশীরাজ নামে জন্মগ্রহণ করেন। এই জন্মে তিনি ভরদ্বাজ মুনির কাছে আয়ুর্বেদ
শিক্ষা করেন। পরে তিনি আয়ুর্বেদকে আট ভাগে ভাগ করেন। এই জন্মে কেতুমান নামে তাঁর এক
পুত্র জন্মে। এর অপরাপর নাম- অব্জ, অব্জদেব।