স্যামন্তক
সত্রাজিৎ এই মণি কিছুদিন নিজের কাছে রেখে পরে তাঁর ভাই প্রসেনজিত্কে দান করেন। প্রসেনজিত্ ছিলেন প্রবল অসংযমী। ইনি এই মণি নিয়ে বনে শিকার করতে গেলে, সিংহের হাতে প্রাণ হারান। সেই সময় সেখানে উপস্থিত জাক্বুবান নামক অপর একজন এই মণি নিয়ে পলায়ন করেন। এদিকে প্রসেনজিত্কে দীর্ঘসময় না দেখে সত্রাজিত্ ধারণা করেন যে, কৃষ্ণ প্রসেনজিত্কে হত্যা করে এই মণি অধিকার করেছেন। কৃষ্ণ এই বিষয় অবগত হয়ে প্রসেনজিত্কে খোঁজার জন্য মৃত প্রসেনজিত্ ও সিংহকে দেখতে পান। এরপর জাক্বুবানের পদচিহ্ন অনুসরণ করে, জাক্বুবানকে খুঁজে বের করে, তাঁকে পরাজিত করে মণি উদ্ধার করে নিয়ে এসে সত্রাজিত্কে ফিরিয়ে দেন। সত্রাজিত্ কৃষ্ণকে সন্দেহ করেছিলেন বলে অত্যন্ত লজ্জিত ও অনুতপ্ত হন। পরে তাঁর কন্যা সত্যভামার সাথে বিবাহ কৃষ্ণের বিবাহ দেন।
সত্যভামাকে বিবাহ করার জন্য অক্রুর এবং কৃতবর্মা আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু সত্রাজিত্ কৃষ্ণের সাথে সত্যভামার বিবাহ দিলে এঁরা সত্রাজিত্কে হত্যা করে মণি দখলের জন্য শতধন্বাকে উত্তেজিত করেন। শতধন্বা সত্রাজিত্কে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে এই মণি অধিকার করেন। সত্যভামার কাছ থেকে কৃষ্ণ এই সংবাদ জানতে পেরে, কৃষ্ণ শতধন্বাকে শাস্তি দিতে অগ্রসর হলে, শতধন্বা তাঁর কুমন্ত্রণাদাতাদের শরণাপন্ন হন। কিন্তু কেউই কৃষ্ণের ভয়ে তাঁকে সাহায্য করতে রাজী হলেন না। শেষে শতধন্বা অক্রুর-এর কাছে এই মণি রেখে পলায়ন করেন। কৃষ্ণ বলরামকে সাথে নিয়ে শতধন্বাকে হত্যা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে জানতে পারেন যে মণিটি অক্রুর কাছে আছে।