সুভদ্রা
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনি মতে−
অর্জুন-এর
স্ত্রী।
কৃষ্ণের
পিতা
বসুদেব-এর ঔরসে
রোহিণীর গর্ভে এঁর জন্ম হয়।
সে হিসাবে ইনি ছিলেন
বলরাম-এর
সহোদরা।
অর্জুন
ব্রহ্মচর্যব্রত পালন করে ঘুরতে ঘুরতে দ্বারকায় আসেন।
পরে এক উৎসব উপলক্ষে
কৃষ্ণের
সাথে ইনি রৈবত পর্বতে যান।
সেখানে
অর্জুনকে যাদবরা সংবর্ধনা দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে
অর্জুন
সুভদ্রাকে দেখে মুগ্ধ হন।
অর্জুন-এর
মনোভাব জানতে পেরে
কৃষ্ণ
এই বিবাহে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সুভদ্রা যখন ঘরে ফিরছিলেন− তখন
কৃষ্ণের পরামর্শে
অর্জুন
সুভদ্রাকে অপহরণ করে ইন্দ্রপ্রস্থে নিয়ে আসেন।
এতে
বলরাম
ক্ষুব্ধ হয়ে
অর্জুন-এর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রার আয়োজন করলে,
কৃষ্ণ
তাঁকে
নিবৃত্ত করেন।
পরে দ্বারকায়
সত্যভামার উদ্যোগে মহাসমারোহে
অর্জুনের
সাথে সুভদ্রার বিবাহ হয়।
অর্জুনের ঔরসে সুভদ্রা'র গর্ভে অভিমন্যু নামক পুত্রের জন্ম হয়। পাণ্ডবদের বনবাসকালে ইনি অভিমন্যুকে নিয়ে দ্বারকায় পিত্রালয়ে বসবাস করেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় ইনি দ্রৌপদীর সাথে পাণ্ডব শিবিরে বসবাস করতেন। মহাপ্রস্থানের সময় পাণ্ডবরা অভিমন্যুর পুত্র (সুভদ্রার পৌত্র) পরীক্ষীতকে রাজ্যাভিষিক্ত করেন এবং সুভদ্রার উপর ধর্মরক্ষার ভার দিয়ে যান।