অব্দ
বানান বিশ্লেষণ: অ+ব্+দ্+অ
উচ্চারণ: ɔb.d̪o (ওব্‌.দো)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত অব্দঃ>বাংলা অব্দ।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:

১. অব্ (রক্ষা করা) +দ (সংজ্ঞার্থে)
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| সময়-কাল | মৌলিক পরিমাপ | মাপ | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}
অর্থ: যা দিবারাত্র ঘটিত কাল ও ত্রিজগৎ রক্ষা বা পালন করে। এই অর্থে সময়ের এই একককে অব্দ বলা হয়। মূলত গ্রহ, উপগ্রহ বা নক্ষত্র অন্যকোনো লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে যে আবর্তন পূর্ণ করে, তাই অব্দ। বাস্তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়জ্ঞাপক মান হিসেবে ধরা হয়। বাংলা ভাষায় অব্দ শব্দটি সৌরবর্ষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। [বিস্তারিত দেখুন:
অব্দ]
সমার্থক শব্দাবলি:
অব্দ, বৎসর, বছর, সন, সাল, হায়ন।
ইংরেজি:
year
যৌগিক শব্দাবলি:

পূর্বপদ: অব্দপর্যায়, অব্দশতান্ত, অব্দার্ধ।
পরপদ: খ্রিষ্টাব্দ, চৈতন্যাব্দ, বঙ্গাব্দ, শকাব্দ।

২. অপ (জল) দ (দান করে) যে/উপপদ তৎপুরুষ সমাস
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { | প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ | প্রপঞ্চ |  দৈহিক প্রক্রিয়া | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
র্থ: জল দান করে যে, এই অর্থে মেঘ। মূলত গ্রহাদির বায়ুমণ্ডলের বিশেষ কোনো উচ্চতায় বায়বীয় পদার্থ শীতল হয়ে তরল বা খণ্ড খণ্ড বরফে  পরিণত হয় এবং তা ঘণীভূত দশায় এমনভাবে অবস্থান করে, যা দূর থেকে জমাটবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। এই দৃশ্যমান  তরল বা টুকরো বরফের স্তূপকে মেঘ বলা হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মেঘের সৃষ্টি হয় জল ব জল থেকে উৎপন্ন বরফের খণ্ড থেকে। পৃথিবীর মেঘ থেকে জল পাওয়া যায় বলে একে বলা হয়-  অব্দ, অম্বুদ, জলদ, বারিদ ইত্যাদি।
মার্থক শব্দাবলি: অব্দ, অভ্র, অম্বুদ, ঘন, জলদ, বারিদ, মেঘ।


সূত্র :