চ
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি
c
ইউনিকোড:
u+099A
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | বর্ণ |
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক |
প্রতীক |
সঙ্কেতচিহ্ন
| যোগাযোগ
| বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা}
সমার্থক শব্দসমূহ
(synonyms): চ
এই বর্ণের নাম -চ । বাংলা বর্ণমালার সপ্তদশ (১৭)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
ষষ্ঠ
বর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ
পাঁচটি বর্গের দ্বিতীয়
বর্গের শ্রেণী পরিচিতি মূলক নাম: চ-বর্গ
এবং এই বর্গের প্রথম বর্ণ
এর মূল ধ্বনি চ্। অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর
এর চিহ্ন দাঁড়ায় চ।
এটি প্রশস্ত
দন্তমূলীয় তালব্য
ধ্বনি ( Palatal),
অঘোষ
অল্পপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ ।
শ্রবণ নমুনা চ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে চ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে ।
ব্রাহ্মীলিপি
তে এই বর্ণটি ছিল অনেকটা ইরেজি ডি বর্ণের মতো।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য়-১ম শতাব্দীর ভিতরে এই বর্ণটির চেহারা বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তি হয়েছে
নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপির এই বর্ণের বিবর্তন দেখানো হলো।

কুষাণলিপিতে
(১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকলেও,
কোন কোন রচনায় চ-এর চেহারা
ব্রাহ্মীলিপির মতই পাওয়া যায়।
গুপ্তলিপিতে
(৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের আকারগত বৈচিত্র্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে
কুষাণ লিপির সংস্করণ মনে হয়। নিচের
চিত্রে
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে
গুপ্তলিপিতে
পর্যন্ত চ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―

খ্রিস্টীয় ৬ম-৯ম
শতাব্দীর কুটিললিপির চ ছিল, আধুনিক বাংলা চ-বর্ণের উল্টা
।
ক্রমবিবর্র্তনের ধারায় সপ্তদশ শতাব্দীতে এসে এই বর্ণটি ব-এর আকার ধারণ করেছিল।
আধুনিক চ-বর্ণটি পুরোপুরিভাবে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দীর পরে।
নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত চ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।
