ঁ (চন্দ্রবিন্দু)
বাংলা বর্ণমালার
পরাশ্রয়ী বর্ণ।
বর্ণ নাম: চন্দ্রবিন্দু
বানান বিশ্লেষণ: চ্+অ+ন্+দ্+র্+অ+ ব্+ই+ন্+দজ+উ।
উচ্চারণ: চন্.দ্রো.বিন্.দু
[cɔn.d̪ro.bin.d̪u]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত চন্দ্রবিন্দু>
বাংলা
চন্দ্রবিন্দু
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: চন্দ্র সহিত বিন্দু/মধ্য
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসপদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {পরাশ্রয়ী |
বাংলা বর্ণ |
বর্ণ |
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক |
প্রতীক |
সঙ্কেতচিহ্ন
| যোগাযোগ|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্ত্বা |
সত্তা}
চন্দ্রবিন্দুর উচ্চারণ ও ব্যবহার:
- সংস্কৃত শব্দ থেকে
বিকৃত ধ্বনি হিসেবে ঞ, ন, ণ, ম চন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। যেমন- পঞ্চ>পাঁচ,
চন্দ্র>চাঁদ, কণ্টক>কাঁটা, ওম্>ওঁ ইত্যাদি।
- সনাতন হিন্দু
ধর্মাবলম্বীরা মৃত ব্যক্তির নামের আগে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করেন। যেমন- ঁঅরুণকুমার।
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব । মুহম্মদ আবদুল হাই রচনাবলী
প্রথম খণ্ড। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৪০১/জুন ১৯৯৪।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান । আবু ইসহাক। চৈত্র
১৪০৯/এপ্রিল ২০০৩।
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি.
আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান স্বরবর্ণ অংশ। আবু ইসহাক।
ফাল্গুন ১৪০৪/ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮।
- ব্যাবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। আনিসুজ্জামান, ওয়াহিদুল হক, জামিল
চৌধুরী, নরেন বিশ্বাস। জাতীয় গণমাধ্যম ইনসটিটিউট। ৮ ফাল্গুন ১৩৯৪
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে
১৯৮৯।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির।
মার্চ ২০০০।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান। সুবলচন্দ্র
মিত্র।