প্রভোরা
ঊর্ধ্ব থাকের দুটি প্রধান শাখার একটি। আকারে অতি-ক্ষুদ্র হলেও এরা ছিল
ভয়ঙ্কর শিকারি। শিকার ধরার সময় এরা মেঘের শরীর বিস্তার করে
আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। এই আকারের জন্য এদের নামকরণ করা হয়েছে- নেবুলিডিয়া।
বৈশিষ্ট্য
আকার ৫–১৫ মাইক্রোমিটার। ডিম্বাকার থেকে গোলাকার। শিকার ধরার সময় “নেবুলা”
বা মেঘের মতো আকৃতি ধারণ করে শিকারকে ঘিরে ফেলে।
এদের দেহে দুটি অসম লেজ থাকে। তবে এই লেজের ধরন
বাইকোন্টা -র
মতো নয়।
শিকারের প্রক্রিয়া। শিকারের সময় শিকারকে ঘিরে ধরে একটা বিশেষ
“হারপুন” জাতীয় অঙ্গ দিয়ে ছিদ্র করে শিকারের ছিদ্র করে ফেলে। এরপর ১০-১৫
সেকেন্ডের মধ্যে ভিতরের সাইটোপ্লাজম চুষে খায়। এই কারণে একে ভ্যাম্পায়ার বলা হয়।
অত্যন্ত দ্রুত সাঁতার কাটে, আকস্মিকভাবে দিক বদলাতে পারে।
মাইটোকন্ড্রিয়া
থাকায় এরা অক্সিজেন ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
এদের অত্যন্ত বড় জিনোম । অনেক জিন অন্য ইউক্যারিয়োটের থেকে আলাদা
সমুদ্র, মিঠা পানি, হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট, এমনকি তুষারেও পাওয়া গেছে ।
এরা
অযৌন বিভাজনের দ্বারা বংশবৃদ্ধি করে।
ক্রমবিবর্তনের ধারা হৃয়াসিয়ান অধিযুগে
( ২৩০-২০০.৫
কোটি খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ)
হুরোনিয়ান বরফযুগের
শেষ হয়। ২১০ কোটি খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের ভিতরে
আদি জীবকণিকাগুলোর একটি অংশ বিবর্তিত
হয়ে
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ- যুক্ত
জীবে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা এই আদি জীবকুলকে
ইউক্যারিয়েটা জীবস্বক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। ১৯০-১৭০
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে
প্রোভোরা
থাকের প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল
এবং উল্লেখ্য, ১৬০-১৪০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই থাক এরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ভাগ দুটি হলো-
নেবুলিডিয়া ও
নিবলেরিডিয়া ।