প্রোভোরা সুপারগ্রুপের দুটি প্রধান শাখার একটি।
এরা
নেবুলিডিয়া
মতো ভয়ঙ্কর শিকারি। শিকার ধরার সময়
শিকারের দেহে মুখের মতো অংশ লাগিয়ে কামড়ে খায়। ইংরেজি
“nibble” = ছোট ছোট কামড় দেওয়া
অর্থে এদের এই নামে অভিহিত করা হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য
আকার ৮– ২০
মাইক্রোমিটার। লম্বা, টর্পেডো বা স্পিন্ডল আকৃতির হয়ে ধাকে।
তবে শিকারের সময় সরু হয়ে যায় ও দ্রুত
বেগে শিকারের দিকে অগ্রসর হয়।
একটা বিশেষ মুখের মতো ।
এই অংশ দিয়ে শিকারের কোষের অংশবিশেষ ছিঁড়ে নেয়।
এদের দেহে দুটি অসম লেজ থাকে। তবে এই লেজের ধরন
বাইকোন্টা -র
মতো নয়।
শিকারের সময়- এরা শিকারকে কামড়ে ১-৫ সেকেন্ডের মধ্যে
খেয়ে ফেলে।
অত্যন্ত দ্রুত সাঁতার কাটে, আকস্মিকভাবে দিক বদলাতে পারে।
মাইটোকন্ড্রিয়া
থাকায় এরা অক্সিজেন ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
এদের অত্যন্ত বড় জিনোম । অনেক জিন অন্য ইউক্যারিয়োটের থেকে আলাদা
ক্রমবিবর্তনের ধারা হৃয়াসিয়ান অধিযুগে
( ২৩০-২০০.৫
কোটি খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ)
হুরোনিয়ান বরফযুগের
শেষ হয়। ২১০ কোটি খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের ভিতরে
আদি জীবকণিকাগুলোর একটি অংশ বিবর্তিত
হয়ে
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ- যুক্ত
জীবে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা এই আদি জীবকুলকে
ইউক্যারিয়েটা জীবস্বক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। ১৯০-১৭০
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে প্রোভোরা থাকের প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল
এবং এই ১৬০-১৪০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই থাক এরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ভাগ দুটি হলো-
নেবুলিডিয়া ও
নিবলেরিডিয়া ।