হে মহাজীবন, হে মহামরণ, লইনু শরণ, লইনু শরণ॥
আঁধার প্রদীপে জ্বালাও শিখা,
পরাও পরাও জ্যোতির টিক– করো হে আমার লজ্জাহরণ॥
পরশরতন তোমারি চরণ– লইনু শরণ,লইনু শরণ।
যা-কিছু মলিন, যা-কিছু কালো,
যা-কিছু বিরূপ
হোক তা ভালো–
ঘুচাও ঘুচাও সব আবরণ॥
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্ররচনাবলী
অষ্টাদশ খণ্ডের (বিশ্বভারতী) ৫৭৯ পৃষ্ঠায় গানটির রচনাকাল লিখিত হয়েছে
-প্রাক্-২৫ বৈশাখ ১৩৩৩।
উক্ত গ্রন্থের
একই পৃষ্ঠার পাদটীকায় লিখিত হয়েছে- উত্তর বৈকালী’তে
(বেলগ্রেড।
অগ্রহায়ণ ১৩৩৩)
১৩৩২ কবির লিপিপ্রমাদ মনে হয়।’
প্রভাতকুমার
মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী’
গ্রন্থে (১৬০৪ সংখ্যক গান) লিখেছেন- ...মূল কবিতায় কবির হস্তলিখিত তারিখ
বৈশাখ ১৩৩২,
কিন্তু পরে ৮৬ পৃষ্ঠায়
বৈশাখ ১৩৩৩ উল্লিখিত।
উল্লিখিত তথ্য সাপেক্ষে গানটির রচনাকাল প্রাক্-২৫ বৈশাখ
ধরাই সঙ্গত হবে।
এই সূত্রে
বলা যায়- রবীন্দ্রনাথের ৬৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ার কিছু আগে
গানটি রচিত হয়েছিল।
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা: ৭৭১।
[নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা ২৪,
পৃষ্ঠা:
৪৯।
[নমুনা]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১১৫, উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা
২৪,
পৃষ্ঠা: ৫৩।
১ অগ্রহায়ণ
১৩৩৩ বঙ্গাব্দ।
১৩৮১
বঙ্গাব্দ সংস্করণে গৃহীত হয়েছিল।
৪৪
সংখ্যক গান,
পৃষ্ঠা ৫৬। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী ৪র্থ খণ্ড (পশ্চিমবঙ্গ সরকার)।
পৃষ্ঠা
৮২১।
নটীর পূজা
প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী
(১৩৩৩
বঙ্গাব্দ)
তৃতীয় অঙ্ক,
শ্রীমতির গান,
পৃষ্ঠা:
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী),
তৃতীয়
অঙ্ক,
শ্রীমতির গান,
পৃষ্ঠা
: ১৮২।
স্বরবিতান
পঞ্চম
(৫)
খণ্ড (বিশ্বভারতী,
ভাদ্র ১৪১৪),
গান
সংখ্যা: ৪,
পৃষ্ঠা
১৭-১৮।
পত্রিকা:
মাসিক
বসুমতী (বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ),
নটীর পূজা, তৃতীয়
অঙ্ক,
শ্রীমতির গান,
পৃষ্ঠা
৪১। [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
গানটি
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
মাসিক
বসুমতী পত্রিকার 'বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
প্রবাসী
(কার্তিক ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)
বৈকালী
(অগ্রহায়ণ ১৩৩৩), নটীর পূজা
প্রথম সংস্করণ
গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি:
[স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর
ও
তাল:
স্বরবিতান
পঞ্চম
(৫)
খণ্ডে
(বিশ্বভারতী,
ভাদ্র ১৪১৪)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৪।৪
মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা'
তালে নিবদ্ধ।
রাগ :
সাহানা। তাল :
কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮৫।
রাগ:
সাহানা,
গৌড়মল্লার (জ্ঞ)।
তাল:
কাহারবা। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৪৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়:
মধ্য।
[৬৪
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে [পূজা-১৮৫]
[তথ্য]
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১১৫ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর -কৃত স্বরলিপির তালিকা]
[সাহানা
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[কাহারবা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]