গানের ঝরনাতলায় তুমি সাঁঝের বেলায় এলে।
দাও আমারে সোনার-বরন সুরের ধারা ঢেলে ॥
যে সুর গোপন গুহা হতে ছুটে আসে আকুল স্রোতে,
কান্নাসাগর-পানে যে যায় বুকের পাথর ঠেলে॥
যে সুর উষার বাণী বয়ে আকাশে যায় ভেসে,
রাতের কোলে যায় গো চলে সোনার হাসি হেসে।
যে সুর চাঁপার পেয়ালা ভ'রে দেয় আপনায় উজার ক'রে,
যায় চলে যায় চৈত্রদিনের মধুর খেলা খেলে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায় নাই।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
প্রবাসী
পত্রিকায় এই গানটি ১৩৩১ বঙ্গাব্দে প্রবাসী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর
গীতবিতান
কালানুক্রমিক সূচীতে এই গানটির রচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন পৌষ ১৩৩১ উল্লেখ
করেছেন। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৩ বৎসর ৮ মাস বয়সের রচনা।
[৬৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গীতগান ১৮। পৃষ্ঠা: ১৫। [নমুনা]
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (পৌষ ১৪৩২) ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৬২-৬৪।
পত্রিকা
প্রবাসী
(পৌষ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ)।
অনাদিকুমার দস্তিদারকৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
পৃষ্ঠা: ৩৮৩-৩৮৪ [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
[প্রবাসী
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
প্রবাসী পত্রিকার 'পৌষ
১৩৩১
বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
অনাদিকুমার দস্তিদারকৃত স্বরলিপিসহ
গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৩২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ
মাসে প্রকাশিত 'প্রবাহিনী' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৩৬
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতমালিকা'র দ্বিতীয় খণ্ডে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৯ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের
তৃতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয়
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গানটি
পূজা পর্যায়ের ৩০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপিকার:স্বরবিতান
একত্রিংশ (৩১,
গীতমালিকা
দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (পৌষ ১৪৩২) প্রকাশিত স্বরলিপিটির অংশ বিশেষ সুরান্তর হিসাবে দেখানো হয়েছে।
আবার এই স্বরবিতানের ১৭১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত তথ্য থেকে
জানা যায়, এই গানটির স্বরলিপিকার
অনাদিকুমার দস্তিদার। সব
মিলিয়ে স্বরলিপিকার কে- এ নিয়ে বিভ্রান্তির জন্ম দেয়।
[অনাদিকুমার
দস্তিদার-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
রাগ- খাম্বাজ অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৪৯।
রাগ: খাম্বাজ,
ঝিঁঝিট। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৮৮।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[খাম্বাজ রাগে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: মা।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।