বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
প্রেমে
প্রাণে গানে গন্ধে আলোকে পুলকে
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে আলোকে পুলকে
প্লাবিত করিয়া নিখিল দ্যুলোকে ভূলোকে
তোমার অমল অমৃত পড়িছে ঝরিয়া ॥
দিকে দিকে আজি টুটিয়া সকল বন্ধ
মুরতি ধরিয়া জাগিয়া উঠে আনন্দ,
জীবন উঠিল নিবিড় সুধায় ভরিয়া ॥
চেতনা আমার কল্যাণরসসরসে
শতদলসম ফুটিল পরম হরষে
সব মধু তার চরণে তোমার ধরিয়া।
নীরব আলোকে জাগিল হৃদয়প্রান্তে
উদার উষার উদয়-অরুণকান্তি,
অলস আঁখির আবরণ গেল সরিয়া ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি নাই।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত গানটির সাথে,
গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে 'অগ্রহায়ণ ১৩১৪'।
উল্লেখ্য,
১৩১৪
বঙ্গাব্দের ৭ অগ্রহায়ণ (২৭ নভেম্বর ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে রবীন্দ্রনাথের
কনিষ্ঠ পুত্র শমীরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাত্র ১১ বৎসর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
মুঙ্গেরে শমীরিন্দ্রনাথের সৎকার করা হয়। ৮ই অগ্রহায়ণ তারিখে- রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এরপর ১১ই অগ্রহায়ণ তিনি কলকাতায় আসেন এবং ২০শে
অগ্রহায়ণ শিলাইদহে চলে আসেন।
মূলত রবীন্দ্রনাথ এই বছরের অগ্রহায়ণ মাসে শান্তিনিকেতন, কলকাতা এবং শিলাইদহে
কাটিয়েছিলেন। তাই
অগ্রহায়ণ মাসে গানটি রচিত হলেও রচনার স্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়
না।
আবার অন্যদিক থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৩১৪ বঙ্গাব্দের
৭ অগ্রহায়ণ
তারিখে রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয়। ১৩১০ বঙ্গাব্দের
একই তারিখে কবিপত্নী দেবীরও মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর পুত্রের মৃত্যুর পর তিনি অত্যন্ত
শোকাহত
হয়ে পরেন। এ
শোককে
তিনি প্রার্থনায় রূপান্তরিত করেন। সে সূত্রে তিনি দুটি গান রচনা
করেছিলেন। গান
দুটি হলো-
১.
প্রেমে
প্রাণে গানে গন্ধে আলোকে পুলকে [পূজা-৩১৬]
২.
অন্তর মম বিকশিত [পূজা-১১১]
[তথ্য]
এই দুটি গানের মধ্যে 'অন্তর মম বিকশিত
[পূজা-১১১]' গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন
'২৭
অগ্রহায়ণ' শিলাইদহের
পদ্মাবোট'-এ
। এ বিচারে হয়তো
তিনি গানটি রচনা করেছিলেন শিলাইদহে থাকাকালে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ৪৬
বৎসর ৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮। গান দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৩০৩]
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৪৫] [নমুনা]
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)। টোড়ি-নবতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি [১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। ভীমরাও শাস্ত্রী-স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
স্বরবিতান ষড়বিংশ (২৬) খণ্ডের ২৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭। [নমুনা]
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। টোড়ি-নবতাল'। পৃষ্ঠা ১৭১ [নমুনা]
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (ফাল্গুন ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন। [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ থেকে স্বরবিতান ২৬-এ গৃহীত হয়েছে
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত-প্রকাশিকা।
ভীমরাও শাস্ত্রী। সংগীত-গীতাঞ্জলি।
সুর ও তাল:
রাগ-মিশ্র টোড়ি। তাল-নবতাল। [স্বরবিতান-২৬]
রাগ-টোড়ি। তাল-নবতাল। [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ।]
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
গ্রহস্বর: ণা।
লয়: মধ্য।