বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা: 
		
		শিরোনাম: 
		
      
      তোমায় 
      নতুন করে পাব ব'লে হারাই ক্ষণে-ক্ষণ
		
		পাঠ ও পাঠভেদ:
		
তোমায় নতুন করে পাব ব'লে হারাই ক্ষণে-ক্ষণ ও মোর ভালোবাসার ধন
দেখা দেবে ব'লে তুমি হও যে অদর্শন
ও মোর ভালোবাসার ধন ॥
      ওগো,
      
       তুমি আমার নও আড়ালের,
      
       তুমি আমার চিরকালের—
         
      ক্ষণকালের 
      লীলার স্রোতে হও যে নিমগন
ও মোর ভালোবাসার ধন ॥
আমি তোমায় যখন খুঁজে ফিরি ভয়ে কাঁপে মন—
প্রেমে আমার ঢেউ লাগে তখন।
      তোমার 
      শেষ নাহি,
      
      তাই শূন্য সেজে    শেষ করে দাও আপনাকে যে—
         
      ওই হাসিরে 
      দেয় ধুয়ে মোর বিরহের রোদন
ও মোর ভালোবাসার ধন ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 131] [নমুনা]
	পাঠভেদ: 
      
	
       তোমায় 
      নতুন করে পাব ব'লে হারাই ক্ষণে-ক্ষণ [গীতবিতান (বিশ্বভারতী, 
	কার্তিক ১৪১২)]
        
	তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ [ফাল্গুনী 
	(১৩২২ বঙ্গাব্দ)]
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	
	
	রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি 
	[RBVBMS 
	131]-এর 
	সাথে গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে '২০ ফাল্গুন রাত্রি সুরুল'। উল্লেখ্য, 
	১৩২১ বঙ্গাব্দের ১২ই ফাল্গুনে 
	রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকতেন হয়ে সুরুলে যান। 
	২৩ ফাল্গুন পর্যন্ত সুরুলে 
থাকাকালীন তিনি মোট ১৫টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি রচনা করেন ২০ ফাল্গুন, 
রাত্রিবেলায়। এই সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বৎসর 
১০ মাস। 
           
	[রবীন্দ্রনাথের  ৫৩ বৎসর 
		অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
	উল্লেখ্য, 'ফাল্গুনী'
নাটকের জন্য গানটি রচিত হয়েছিল।
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৫৩৪। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১৩। পৃষ্ঠা: ২১। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪৫। উপবিভাগ: বন্ধু ১৩। পৃষ্ঠা: ২৪-২৫ [নমুনা: ২৪, ২৫]
প্রথম সংস্করণের [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ)। চতুর্থ দৃশ্য
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৯৪)। পৃষ্ঠা ১৪২-৪৩।
স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডের (কার্তিক ১৪১৩) ২৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮৯-৯১।
পত্রিকা:
	
	সবুজপত্র 
	(চৈত্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ফাল্গুনী নাটকের সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। 
	পৃষ্ঠা: ৮৫৯-৮৬০ [নমুনা:
	
	৮৬০,
	
	৮৬১]
                
[সবুজপত্র 
পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
	রেকর্ড: ১৯২৬ 
	খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি বেশ কিছুর 
	কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গানের রেকর্ড প্রকাশ করে। এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল সাহানা 
	দেবী (বসু)-র কণ্ঠে। এর রেকর্ড নম্বর ছিল 
	P 9041।
 
		প্রকাশের 
		কালানুক্রম:  
১৩২১ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে এই গানটি রচনার পর 
	প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 
		সবুজপত্র 
		 পত্রিকার 'চৈত্র 
	১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়, ফাল্গুনী নাটকের সাথে। পরের বছর অর্থাৎ ১৩২২ বঙ্গাব্দে 
	ফাল্গুনী গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলে, এই গানটি এই গ্রন্থের  চতুর্থ দৃশ্যে, 'বাউলের 
গান' হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।
	
১৩৩৮ 
		বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
		সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। 
		১৩৪৮ 
		খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি 
		গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে 
		পূজা পর্যায়ের ৪৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
		কিন্তু ঢালাভাবে গীত গানটি টপ্পা অঙ্গের কথা মনে করিয়ে 
দেয়। 
		ফাল্গুনীতে এই গানটি বাউলের গান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
                
[টপ্পা অঙ্গের রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: খাম্বাজ (টপ্পা)। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৬]।
		রাগ: ইমন, ঝিঁঝিট। 
		তাল: কাহারবা, ঢালা 
		
		 [রাগরাগিণীর 
		এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা:
		৯৮।
               
[খাম্বাজ রাগে 
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]  
গ্রহস্বর: পা।