বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা ৬৪।
আমার
খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে
তুমি তা কে জানত।
তখন
ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে,
জীবন বহে
যেত অশান্ত ॥ তুমি
ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেন আমার
আপন সখার মতো,
হেসে
তোমার সাথে ফিরেছিলেম ছুটে সে দিন
কত-না বন-বনান্ত ॥
ওগো ,
সেদিন তুমি গাইতে যে-সব গান
কোনো
অর্থ তাহার কে জানত
।
শুধু
সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ , সদা নাচত
হৃদয় অশান্ত
হঠাৎ
খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি স্তব্ধ
আকাশ নীরব শশী রবি,
তোমার
চরণ-পানে নয়ন করি নত
ভুবন
দাঁড়িয়ে আছে একান্ত ॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি 'গীতাঞ্জলি
357'
ও 'Ms. 478' -এ এই গানটি রয়েছে পাওয়া
যায়।
RBVBMS
357]
[ পাণ্ডুলিপি
]
[RBVBMS
478]
[পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
-
হঠাৎ
খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি [গীতবিতান
স্তব্ধ
আকাশ ,
নীরব শশী রবি
[( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
হঠাৎ খেলার শেষে আজ কি দেখি ছবি
স্তব্ধ
আকাশ, নীরব শশি রবি
[পাণ্ডুলিপি
]
এছাড়া
পাণ্ডুলিপির সাথে গীতবিতানের যতি-চিহ্নের কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা
যায়। পাণ্ডুলিপিতে 'জানত' বানান 'জান্ত' এবং 'মতো' বানান
'মত' রয়েছে ।
তথ্যানুসন্ধান
- ক.
রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
Ms. 357
-তে
গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে, '১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৩১৭'। উল্লেখ্য,
১৩১৭ বঙ্গাব্দের
৪ জ্যৈষ্ঠ তারিখে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে
দার্জিলিং জেলার তিনধরিয়া যাত্রা করেন।
২১ জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত তিনি তিনধরিয়া
তে
অবস্থান করেন। এখানে থাকার সময় তিনি মোট ১২টি গান ও কবিতা রচনা করেন।
এর ভিতরে ১৭
জ্যৈষ্ঠ [মঙ্গলবার, ৩১ মে ১৯১০] তিনি রচনা করেন এই গানটি। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর ১ মাস।
[৪৯
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ .
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ :
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড। (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
গীতাঞ্জলি গান ৬১ । পৃষ্ঠা: ৩৫৪।
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
গীতলিপি তৃতীয় ভাগ (১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
গীতাঞ্জলি
- ইন্ডিয়ান
পাবলিশিং হাউস, ২০ ভাদ্র ১৩১৭
বঙ্গাব্দ।
গান সংখ্যা ৬৯। পৃষ্ঠা: ৮১।
[নমুনা
]
- বিশ্বভারতী ১৩৩০
,
৬৮ সংখ্যক গান।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী,
আশ্বিন ১৩৯৩)।পৃষ্ঠা ৫৬।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২১
বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৬২-৬৩]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]।
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
(১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭)খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩) ১৫ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪৪-৪৬।
-
রবীন্দ্রনাথ-কৃত অনুবাদ
ইংরেজি গীতাঞ্জলির পাঠ:
When my play was
with thee
I never questioned who thou wert.
I knew nor shyness nor fear, my life was boisterous.
In the early
morning thou wouldst call me from my sleep
like my own comrade and lead
me running
from glade to glade.
On those days
I never cared to know
the meaning of songs thou sangest to me.
Only my
voice took up the tunes,
and my heart danced in their cadence.
Now, when the
playtime is over,
what is this sudden sight that is come upon me?
The
world with eyes bent upon thy feet
stands in awe with all its silent
stars.
সূত্র:
Gitanjali,
Rabindranath Tagore, Visva-Bharati and UBSPD, Thirteenth Reprint
2008, Page 242-243. ৯৭ সংখ্যক
গান।
গীতাঞ্জলি (নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সম্পাদনা : আবদার
রশীদ। বাংলা একাডেমী ঢাকা। (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সংস্করণ)।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩১৬ বঙ্গাব্দে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর
১৩১৭ বঙ্গাব্দে গানটি গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয় 'ধর্ম্মসঙ্গীত' গ্রন্থে। ১৩২৩
বঙ্গাব্দে গীতাঞ্জলি থেকে কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয় গীতাঞ্জলি থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়।
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি
: [নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
-
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। [গীতলিপি ৩য় ভাগ (১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ) থেকে স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬১) গৃহীত
হয়েছিল। হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রণেও ( চৈত্র ১৪১৩)
স্বরলিপিটি অবিকৃতভাবে রয়েছে।
]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
ভীমরাও শাস্ত্রী
।
সংগীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এই স্বরলিপিটি স্বরবিতানে গৃহীত হয় নি।
[ভীমরাও
শাস্ত্রী-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
রাগ ও তাল:
-
রাগ: মিশ্র মল্লার। তাল:
দাদরা
। [স্বরবিতান-৩৭ ( চৈত্র
১৪১৩) । পৃষ্ঠা: ৪৪]
[দাদরা
তালে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
রাগ:
মিশ্রমল্লার । তাল:
দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও
বিবর্তন। ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার। সাহিত্যলোক। পৌষ ১৩৯৪। ডিসেম্বর
১৯৮৭। পৃষ্ঠা : ১০১]
-
রাগ:
সাহানা। তাল:
দাদরা
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৯]
-
রাগ: গৌড়মল্লার (জ্ঞ)।
তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১
, পৃষ্ঠা:
৫৬।]
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।