অসহযোগ আন্দোলন
সরকারের সাথে জনসাধারণের অসহযোগিতামূলক আন্দোলনকে সাধারণভাবে অসহযোগ আন্দোলন নামে অভিহিত হয়। ভারতের ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ শাসনামলে স্বাধীনতাকামী ভারতবাসীরা ক্রমে সোচ্চার হয়ে উঠতে থাকে। এসকল বাদ-প্রতিবাদের সূত্রে আন্দোলন তীব্রতর হয়ে উঠেলেও, প্রথম দিককার আন্দোলনগুলোতে শাসকশক্তিকে বর্জন করার রীতি ছিল না। এমন কি ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সিপাহি বিপ্লবকেও অসহযোগ আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করা হয় ন। কারণ, সিপাহি বিপ্লব ছিল ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ভারতীয় সৈন্যদের বিদ্রোহ।

ব্রিটিশ শাসিত ভারত-সরকারের প্রণীত আইনকে অমান্য করে, সরকারের সাথে অসহযোগিতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল মূলত বঙ্গভঙ্গ-রদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড কার্জন বড় লাট নিযুক্ত হন। মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য― লর্ড কার্জন বাংলা প্রসিডেন্সি ভেঙে বাংলাকে দুর্বল করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে বাংলার আন্দোলনরত জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ব্রিটিশ শক্তি হুমকি হিসাবে নিয়েছিল। এই প্রক্রিয়া ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা প্রেসিডেন্সি থেকে উড়িষ্যাকে পৃথক করার প্রস্তাব করা হয়। এই সময় লর্ড কার্জনের প্রধান সমর্থক ও উপদেষ্টা এ্যাণ্ডুজ ফ্রেজারকে বাংলার লেফটেনান্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফ্রেজার বাংলা প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা গ্রহণের পর, লর্ড কার্জনের কাছে বঙ্গবিভাগের পরিকল্পনা পেশ করেন। ১৯০৩ বঙ্গাব্দের ৩ ডিসেম্বর তারিখে লর্ড কার্জন এই পরিকল্পনা প্রায় অক্ষুণ্ণ রেখে সরকারিভাবে উত্থাপন করেন এবং তা  'ক্যালকাটা গেজেট'-এ প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য এই সময় এই অঞ্চল শাসিত হতো একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীনে। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও
এই বিভাজন থেকে বিশেষ কোন প্রশাসনিক সুবিধা পাওয়ার পরিবর্তে অসুবিধাই বেশি হয়েছিল। এই প্রস্তাবে ছিল–

  ১. সমগ্র উড়িষ্যার সাথে বঙ্গদেশের বৃহত্তম অংশ যুক্ত হবে।
  ২. চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলা ও ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও ময়মনসিংহ আসামের সাথে যুক্ত করা হবে। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের শুরুতে এর বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ, বাংলা পত্রপত্রিকা, ভারত ও ইংল্যান্ডের ইংরেজি পত্রিকাগুলো প্রতিবাদ করে। ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহকে ইংরেজরা স্বপক্ষে আনতে সক্ষম হলেও, বাংলার সমগ্র মুসলমান সমাজকে আনতে পারে নাই। ১৯০৫ সালের জুলাই মাসের ভিতরে এই আন্দোলনে স্থানীয় জমিদার এবং সাধারণ প্রজাদের সাথে চরমপন্থী দলগুলোও শরিক হয়ে উঠে। ১৯০৫ সালের ১৭ই জুলাই খুলনাতে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ  ব্রিটিশ পণ্য বয়কটের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ক্রমান্বয়ে এই আন্দোলন ব্রিটিশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী অন্দোলনে রূপ লাভ করে। সরকারি বিধিকে অমান্য করা এবং  ব্রিটিশ পণ্য বয়কটের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন 'অসহযোগ আন্দোলন'-এ পরিণত হয়েছিল। এই কারণে ভারতবর্ষে বঙ্গভঙ্গ-রদ আন্দোলন-কে ভারতের প্রথম অসহযোগ আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধীর ব্রিটিশ শাসকদের সাথে অসহযোগিতা করার আন্দোলনকে বলা যায়- দ্বিতীয় পর্যায়ের অসহযোগ আন্দোলন। এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল কিছু ধারাবাহিক ঘটনার সূত্রে।

১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই মার্চ একটি সন্ত্রাস বিরোধী এবং দমনমূলক আইন প্রণয়ন করে। এই আইনটিই হলো-রাওলাট আইন ১৯১৯
(The Rowlatt Act of 1919) । ভারতের ভাইসরয় ও ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল (২৩ চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ) সেই আইন বলবৎ করে। এর ফলে ভারতীয়রা ব্রিটিশদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রাওলাট আইনের  বিরোধিতার সূত্রে মহাত্মা গান্ধী সর্বভারতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ৩০শে মার্চ এবং ৬ই এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ হরতাল ও জনসমাবেশের ডাক দেন এবং ব্যাপকভাবে পালিত হয়। তিনি এর প্রতিবাদে সত্যগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন। এপ্রিল মাসে সর্বভারতীয় সত্যগ্রহ আন্দোলন শুরু হয় এবং হরতাল পালিত হয়। এরপর পাঞ্জাবে তাঁর প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে, তিনি পাঞ্জাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এই কারণে দিল্লী যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।  ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই এপ্রিলে, সংঘটিত  হয় কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুন তারিখ গান্ধী ভাইসরয়কে লেখা একটি চিঠিতে ‘স্মরণাতীত কাল থেকে চলে আসা কুশাসনের আশ্রয় নেওয়া শাসককে সাহায্য প্রদান প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে প্রজাবৃন্দের’ স্বীকৃত অধিকারের কথা দৃঢ়রূপে ঘোষণা করেন। ওই চিঠিতে প্রদত্ত সতর্কীকরণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন চালু করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায়য় আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির ভিতরে ছিল ব্রিটিশ খেতাব ও সরকারি পদ ত্যাগ করা এবং স্থানীয় সংস্থাসমূহের মনোনীত পদসমূহ থেকে ইস্তফা প্রদান করা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অসহযোগকারীরা সরকারি দায়িত্ব, দরবার ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বর্জন করবে। অভিভাবকরা স্কুল-কলেজ থেকে তাঁদের সন্তানদের প্রত্যাহার করবে। এর পরিবর্তে জাতীয় স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হবে। ব্রিটিশ আদালত বর্জন করবে এবং নিজস্ব সালিশি আদালত প্রতিষ্ঠা করবে। অসহযোগকারীরা বিদেশী পোশাক এবং বস্ত্র ত্যাগ করে স্বদেশী পোশাক ও বস্ত্র ব্যবহার করবে।

ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে কলকাতার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। সেখানে দলীয় সংগঠনের উন্নতিসাধনের ওপর জোর দেওয়া হয়। চার আনা চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে সকল বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষ ও নারীর জন্য কংগ্রেসের সদস্যপদ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাস থেকে এটা সর্বভারতব্যাপী বেশ কিছুটা সাফল্য পায়। এই সময় আলী ভ্রাতৃদ্বয়কে সাথে নিয়ে গান্ধী ভারতের বিভিন্ন সফর করেন এবং ভাষণ দেন। এই সফরে প্রথম মাসে প্রায় ৯,০০০ ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ পরিত্যাগ করে। এছাড়া প্রায় আট'শ অধিক এই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে। বঙ্গদেশে চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বতে বাংলায় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বর্জন বিশেষভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়। লালা লাজপৎ রায়ের নেতৃত্বে পাঞ্জাবে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধু হয়ে যায়। এছাড়া মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামে যথেষ্ঠ সাড়া পাওয়া যায়। তবে মাদ্রাজ এই আন্দোলনে ততটা ছড়িয়ে পড়ে নি।

এই সময় সি.আর দাশ, মতিলাল নেহরু, এম.আর জয়াকর, এস.কিচলু, ভি.প্যাটেল, আসফ আলী খান ও অন্যান্যদের মতো অনেক বিশিষ্ট আইনজীবী তাঁদের লাভজনক ব্যবসায় পরিত্যাগ করেন। এই আন্দোলনের সূত্রে বিদেশ আমদানি ১০২ কোটি টাকা থেকে ৫৭ কোটিতে নেমে আসে।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই মাসে সরকারের প্রতি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে ‘মুসলমানদের জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরি চালিয়ে যাওয়া ধর্মীয় দিক থেকে আইন-বিরুদ্ধ হিসেবে প্রচারণা চালানো হয়। এই কারণে মুসলমান অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুহম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গান্ধী কংগ্রেস মুহম্মদ আলীকে সমর্থন করেন।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর তারিখ শুরু হওয়া প্রিন্স অব ওয়েলসের ভারত সফর। প্রিন্স যেদিন মুম্বাই এসে পৌঁছেন সেদিন সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল পালিত হয়। তিনি যেখানেই যান সেখানে তাঁকে রাস্তাঘাট জনশূন্য ও দরজা জানালা অর্গলবদ্ধ রাখার মাধ্যমে বিরূপ সংবর্ধনা জানানো হয়। এই সময় কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পুলিশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এ আন্দোলন কেরালার মালাবারে মুসলমান প্রজারা তাদের ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। আসামে চা বাগানের শ্রমিকগণ ধর্মঘট হয়। পাঞ্জাবে আকালি আন্দোলন ছিল সর্বজনীন অসহযোগ আন্দোলনের একটি অংশ নেয়।

বাংলায় সি.আর দাশের স্ত্রী ও ভগিনী যথাক্রমে বাসন্তী দেবী ও ঊর্মিলা দেবী, জে.এম সেনগুপ্তের স্ত্রী নেলী সেনগুপ্তা, অন্যান্যদের যেমন মোহিনী দেবী, লাবণ্যপ্রভা চন্দকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনের সূত্রে বাংলায় বিদেশি মদ ও বস্ত্রের দোকানে পিকেটিং-এর পাশাপাশি এবং রাস্তাঘাটে খদ্দরের কাপড় বিক্রি শুরু হয়। এর ফলে আন্দোলনের বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকার ফৌজদারি আইনের ১০৮ ও ১৪৪ ধারা জারি করে। সরকার স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় এবং ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভারতের সকল স্থান থেকে ৩০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে শুধু  গান্ধী জেলের বাইরে ছিলেন।

ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি মালব্যের উদ্যোগে আপস-মীমাংসায় পৌঁছতে আলাপ-আলোচনা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়। এরপর গান্ধী সরকারের সমীপে চরমপত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু সরকার এতে কোনো সাড়া না দেওয়ায় তিনি সুরাট জেলার বারদলি তালুকে আইন অমান্যকারী আন্দোলন প্রবর্তন শুরু করেন। এ সময় চৌরিচৌরার দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এর ফলে আন্দোলনের গতি পাল্টে যায়। এরই মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ২৫ জন পুলিশ ও একজন ইন্সপেক্টরকে হত্যা করে। এ ঘটনা  গান্ধীর নিকট বেশি বাড়াবাড়ি মনে হয়। এর ফল হলো যে, তিনি তৎক্ষণাৎ আন্দোলন স্থগতি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এভাবে ১৯২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে অসহযোগ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাক-ভারত বিভাজনের পর, তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের জনসাধারণ পাকিস্তান সরকারের সাথে অসহযোগিতামূলক আন্দোলন শুরু করেছিল, তা সমগ্র ভারতবর্ষের বিচারে তৃতীয় এবং পাকিস্তানের প্রথম অসহযোগ আন্দোলন। এর প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। 

১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ২৬৯ আসনের মধ্যে ২৬৭টি আসনে জয়লাভ করে। এরূপ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে
সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বাঙালির অধিকার নস্যাৎ করার পথ বেছে নেয়। এই সূত্রে পূর্ব-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ আকস্মিকভাবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, এক ঘোষণায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তা স্থগিত করে দেন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবাদী আন্দোলন অসহযোগ আন্দোলনে রূপ লাভ করতে থাকে। তবে এর আনুষ্ঠানিকতা পায় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ, মুজিবর রহমান-এর ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকে। ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালি নিধন অভিযান অপারেশন সার্চ লাইট-শুরু হলে, অসহযোগ আন্দোলন স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিণত হয়।