হারমোনিয়াম
উচ্চারণ: ɦar.mo.ni.am (হার্.মো.নি.আম্ )
শব্দ-উৎস:
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {মুক্তরীড| রিড | সুষির | বাদ্যযন্ত্র | ডিভাইস | যন্ত্র | যন্ত্রীকরণ | মনুষ্য-সৃষ্টি | এককঅংশ | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }

বর্তমান ভারতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত এক প্রকার বিদেশী বাদ্যযন্ত্র। সাধারণত এই যন্ত্রটি কণ্ঠসঙ্গীত বা যন্ত্রসঙ্গীতের সাথে সহযোগী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এর একক বাদনও দেখা যায়।

ভারতবর্ষের চিরায়ত সঙ্গীতজগতে এই যন্ত্রটি ততটা মর্যাদার আসন না পেলেও, শাস্ত্রীয় কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পীরা সহযোগী যন্ত্র হিসেবে অনেক সময় হারমোনিয়াম ব্যবহার করে থাকেন। মূলত সঙ্গীত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক তালিমের সময় এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে থাকেন।

প্রচলিত হারমোনিয়াম দেখতে অনেকটা বাক্সের মতো। একটি আবদ্ধ বাক্সের উপরিভাগে কিছু রিড
(reed) সাজানো থাকে। বেলো দ্বারা তাড়িত করে এর ভিতরে বাতাস প্রবেশ করিয়ে, এই বাক্সের ভিতরে বাতাসের চাপ সৃষ্টি করা হয়। এই বাতাস রিডের ভিতর দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় রিডের শব্দ উৎপাদক পাত কম্পিত হয়ে শব্দ তৈরি করে। এক্ষেত্রে সবগুলো রিড যাতে এক সাথে বেজে না উঠে, তার জন্য প্রতিটি রিডের উপর এক ধরনের প্রতিবন্ধক রাখা হয়। সুনির্দিষ্ট একটি রিড থেকে শব্দ উৎপাদনের জন্য এই প্রতিবন্ধক উন্মুক্ত করা হয়। এই প্রতিবন্ধকটি একটি লম্বা দণ্ডের এক প্রান্তে যুক্ত থাকে। এর অপর প্রান্তটিতে থাকে আঙুলের চাপ দেওয়ার জায়গা। এর মাঝখানে থাকে একটি আবদ্ধক অংশ। সবমিলিয়ে আবরক দণ্ডটি ঢেঁকির মতো হয়। এর চাপ দেওয়ার অংশে চাপ দিলে, প্রতিবন্ধক দণ্ডের অপর প্রান্ত উন্মুক্ত হয়। ফলে রিডের ভিতর দিয়ে বাতাস বেড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাত কম্পিত হয়ে ধ্বনির সৃষ্টি করে। এই দণ্ডের উপর একটি সলম্বা স্প্রিং থাকে। প্রতিবন্ধকের উপর থেকে আঙুলের চাপ সরিয়ে নিলে, ওই স্প্রিং বাঁশির উপর প্রতিবন্ধককে দৃঢ়ভাবে চেপে বাতাস প্রবেশকে বাধা দেয়। ফলে ওই বাঁশি থেকে কোনো শব্দ হয় না।

হারমোনিয়ামের এই বাঁশিকে রিড
(Reed) বলা হয়। পক্ষান্তরে রিডের উপরের স্থাপিত প্রতিবন্ধককে চাবি বলা হয়। চাবির উপর চাপ সৃষ্টির উপযোগী প্রান্ত একটি বোর্ডের উপর মুক্তভাবে স্থাপিত থাকে। হারমোনিয়ামের এই অংশটি বলা হয় কী-বোর্ড।

হারমোনিয়ামের বাঁশিগুলো ক্রোমাটিক স্কেলে সাজানো থাকে। ফলে বাঁশিগুলো মোটা থেকে সরু স্বরের একটি বিন্যাস পাওয়া যায়। কিন্তু হারমোনিয়ামের চাবিগুলো এইরকম সরলভাবে না থেকে একটি বিশেষ সজ্জায় রাখা হয়। সাধারণ হারমোনিয়ামের চাবিগুলোতে সাদা ও কালো বর্ণের চাবি ব্যবহার করা হয়। হারমোনিয়ামের সাদা চাবিগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কালো চাবিগুলো ২-৩ পদ্ধতিতে সাজানো থাকে। এর সর্ববামের সাদা চাবিটি পাশ্চাত্য রীতিতে 'সি' বলা হয়। এরপর পরবর্তী সকল সাদা চাবি মেজর নোট হিসাবে ধরা হয়। আবার প্রতিটি মেজর নোটের সাথে উপরের কালো চাবিটি মাইনর নোটের প্রতিনিধিত্ব করে। সাদা চাবিগুলোর ক্রমিক বিন্যাস হয় সি-ডি-ই-এফ-জি-এ-বি (সি)। আর কালোগুলো মূল স্বরের শার্প (কড়ি, তীক্ষ্ণ) হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। এর এক সি থেকে পরের সি পর্যন্ত একটি সপ্তক ধরা হয়। সর্ববামের সপ্তকের নাম উদারা সপ্তক, মাঝের সপ্তকের নাম মুদারা সপ্তক এবং বামের সপ্তকের নাম তারা সপ্তক (
Octave )। সাধারণভাবে হারমোনিয়াম তিন অক্টেভের হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো হারমোনিয়াম সাড়ে তিন অক্টেভের হয়।

হারমোনিয়ামের ইতিহাস
হারমোনিয়ামের আদ্য যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, পাশ্চাত্য রিগেল (
regal) নামক বহনযোগ্য অর্গ্যানকে। এই যন্ত্রটি ১৬০০-১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। কিন্তু এই যন্ত্রটি ছিল বদ্ধরিড ভিত্তিক যন্ত্র। এরপর থেকে রিডযুক্ত যন্ত্র নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা ইউরোপে চলতে থাকে। ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কোপেনহেগেনের মনোবিজ্ঞানীর অধ্যাপক Christian Gottlieb Kratzenstein প্রথম একটি 'মুক্ত রিড' বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেন। ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে হারমোনিয়ামের মতো একটি মুক্তরিড যন্ত্র উপস্থাপন করেন Gabriel Joseph Grenié । তিনি এই যন্ত্রটির নামকরণ করেছিলেন orgue expressif (expressive organ)। ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটান Alexandre Debain। তিনি এর নাম দেন harmonium । এই নতুনযন্ত্রটি ইউরোপ এবং আমেরিকাতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোষ্টনের Mason & Hamlin এর বেলো অংশের উন্নয়ন ঘটান।

গোড়ার দিকে বেশিরভাগই পদচালিত বেলো পদ্ধতির হারমোনিয়াম তৈরি হতো। এতে পায়ের সাহায্যে বেলো চালিয়ে হারমোনিয়ামের বাক্সের ভিতর বাতাস ঢুকানো হতো। এই সময়ের হারমোনিয়ামে পিয়ানোর মতো অক্টেভ সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি।
ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে হারমোনিয়াম সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে, পাইপ অর্গ্যানের বিশাল দৈহিক আকার এবং দামের জন্য সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে স্থান পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। বহনযোগ্য এবং দামের স্বল্পতার কারণে, হারমোনিয়াম হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য গৃহোপকরণের মতো। একই কারণে হারমোনিয়াম ইউরোপ-আমেরিকার গির্জাগুলোতেই ধীরে ধীরে স্থান করে নিয়েছিল।  ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে হারমোনিয়াম নিয়ে আসে খ্রিষ্টান মিশনারিরা। এই হারমোনিয়ামগুলো ছিল ফ্রান্সের তৈরি এবং হস্তচালিত বেলো হারমোনিয়াম। কালক্রমে এই যন্ত্রটি সারা ভারতবর্ষের দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে ভারতবর্ষে এর নানারকমের উন্নয়ন ঘটে।

দ্বারকানাথ ঘোষের ডোয়ার্কিন এন্ড সন কোম্পানি বিদেশ থেকে হারমোনিয়ামের রিড এনে নিজেরাই হারমোনিয়াম তৈরি করা শুরু করে। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে পারিবারিক নাটকে এই হারমোনিয়াম ব্যবহার করেছিলেন। সম্ভবত এটি ছিল পদচালিত বেলো হারমোনিয়াম। আনুমানিক ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে দ্বারকানাথ ঘোষ হস্তচালিত বেলো হারমোনিয়ামের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। এরপর ধীরে ধীরে পদচালিত হারমোনিয়াম বিলুপ্ত হয়ে যায়।

অল ইন্ডিয়া রেডি্ওতে হারমোনোয়াম বর্জন
ভারতবর্ষে বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে হারমোনিয়াম সকল ধরনের গানে ব্যবহারের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের স্থান দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু এই সময়ে বিভিন্ন সঙ্গীতগুণীদের কাছে হারমোনিয়াম যথেষ্ঠ মানসম্পন্ন বাদযযন্ত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ অল ইন্ডিয়া রেডিওতে হারমিনিয়ামের সাথে গান গাওয়া নিষিদ্ধ করা হয় এবং একই তারের যন্ত্রের সাথে গান গাওয়ার বিধান দেওয়া হয়।

এই নির্দেশ কর্যকর করার আগে- বেতার জগতের তিনটি সংখ্যায় এই বিষয়ে ধারাবাহিক বার্তা মূদ্রিত হয়।

বেতার জগতের প্রথম বার্তা
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ ২য় সংখ্যার 'আমাদের কথা' বিভাগে [পৃষ্ঠা: ৬৯] 'বিনা হারমোনিয়ামে গান' শিরোনামে প্রথম বার্তা প্রকাশ করা হয়। এই বার্তাটি ছিল-
    'অল্ইন্ডিয়া রেডিওর কর্ত্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত করেছেন যে, বেতারের আসরে গায়ক-গায়িকাদের তারের যন্ত্রের সঙ্গে গান গাইতে হবে; সঙ্গৎ-এর যন্ত্রস্বরূপ হারমোনিয়ম নিয়ে গান করা চল্‌বে না। এই নূতন ব্যবস্থায় বহু গারক- গায়িকার অসুবিধা হবে, এ আমরা জানি। কিন্ত আপাত-দৃষ্টিতে অসুবিধা বোধ হলেও অদূর ভবিষ্যতে সঙ্গীতের ক্ষেত্র কল্যাণকরই হবে এই পরিবর্ত্তিত বিধান। তারের যন্ত্রের সঙ্গে স্বরসাধন করলে কণ্ঠ যেরূপ সুরেলা হয়, হারমোনিয়মে সেরূপ আশা করা যায় না। হারমোনিয়মে নির্দ্দিষ্ট কড়ি ও কোমল অনুযায়ী কণ্ঠ চালনায় রাগ-রাগিণীর বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ণ হয়। কারণ সুরের সূক্ষ্ণতা হারমোনিয়মের বাঁধা-ধরা সংকীর্ণ পথ দিয়ে বেরোতে পারে না। সঙ্গীতের এই সংস্কারের দিকে অল্ইন্ডিয়া রেডিও মনোযোগী হ'য়েছেন। স্বল্পকালের মধ্যে এই নূতন নিয়ম প্রতি বেতার কেন্দ্রেই প্রচলিত হবে। আশা করি, আমাদের সঙ্গীত-শিল্লীরা এই উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত ক'রে তোলবার জন্য সর্ব্ব প্রকারে সহযোগিতা করতে কুণ্ঠিত হবে না।'

বেতার জগতের দ্বিতীয় বার্তা
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ ৩য় সংখ্যার 'আমাদের কথা' বিভাগে [পৃষ্ঠা: ১১৫] 'বিনা হারমোনিয়ামে গান' শিরোনামে দ্বিতীয় বার্তা প্রকাশ করা হয়। এই বার্তার বলা প্রতিবেদনে বলা হয়-

    'বেতারের আসরে বিনা হারমোনিয়মে গান গাওয়া! সন্বন্ধে আমরা গতবারে আলোচনা করেছি। এই নিয়মটি বলবৎ হবে আগামী ১লা মার্চচ' থেকে । আমাদের সঙ্গীত-শিল্পীবৃন্দের কাছে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রেরিত হয়েছে, আশা করি, তাঁরা এ পত্র পেয়েছেন।

    'এই নূতন বাবস্থায় বহু গায়ক-গায়িকার যে অসুবিধা হবে, তা সাময়িক। এমন অনেক সুগায়ক আছেন, যাঁদের গানের সঙ্গে তানপুরায় সুর দেওয়া হয় কিন্তু নিজে হারমোনিয়মটি. না বাজিয়ে গাইলে তিনি তৃপ্তি পান না। আবার এমন অনেক সুকঠ গায়ক-গায়িকা আছেন, যাঁরা কখনো হারমোনিয়ম ছাড়া চলেননি। এই দুই শ্রেণীর সঙ্গীত-শিল্পীরা কিছুকাল নিয়মিতভাবে তানপুরায় গাওয়া অভ্যাস করলেই তাঁদের হারমোনিয়মের
অভাব-বোধ-জনিত অসুবিধা ভূগতে হবে না। কিন্তু এমনও অনেক গায়ক-গায়িকা আছেন যাঁরা হারমোনিয়মের সুরের প্রভাবের দ্বারা নিজের কণ্ঠের দৈন্য মোচন করেন । মুস্কিল হবে তাঁদেরই বেশী। তাঁদের নূতন ক'রে ম্বর-সাধনা ছাড়া আর গত্যন্তর নাই। আর এই স্বর-সাধনা তানপুরার সঙ্গে হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

    'যাঁরা বেতারের আসরে গাইবার জন্য প্রতি শনিবারে সঙ্গীতের পরীক্ষা দিতে ইচ্ছা করেন তাঁরা যেন বিনা হারমোনিয়মে গান গাইবার জন্য প্রস্তুত হ'য়ে আসেন।'
বেতার জগতের তৃতীয় বার্তা
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে হারমোনিয়াম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। বেতার জগতের ১১ বর্ষ ৫ম সংখ্যার [শুক্রবার ১ মার্চ ১৯৪০, ১৭ ফাল্গুন ১৩৪৬] 'আমাদের কথা' বিভাগে 'হারমোনিয়াম বর্জন সম্পর্কে একটি ঘোষণা প্রকাশিত হয়। এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়- '১লা মার্চ থেকে অল ইন্ডিয়া রেডিওর সমস্ত কেন্দ্র থেকেই হারমোনিয়াম বর্জ্জন করা হ'লো।' 

অল ইন্ডিয়া'র এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই এপ্রিল, অল ইন্ডিয়ার অশোককুমার সেনকে একটি চিঠি লিখেছিল। রবীন্দ্রনাথের এই পত্রটিও এই পত্রিকার 'আমাদের কথা' বিভাগে একই সাথে প্রকাশিত হয়েছিল।
        [ বেতারজগৎ-এ প্রকাশিত ঘোষণা পত্র ও রবীন্দ্রনাথের চিঠি]

এরপর থেকে বেতারকেন্দ্রে হারমোনিয়ামের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের চিঠি থেকে জানা যায়, এর আগে থেকে শান্তিনিকেতনে হারমোনিয়ামের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ হারমোনিয়াম ত্যাগ করতে পারে নি। ক্রমে ক্রমে উন্নতর হারমোনিয়াম তৈরি এবং হারমোনিয়াম তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে ব্যাপকভাবে হারমোনিয়াম চাল ছিল। এই সময় মূলত হস্তচালিত হারমোনিয়াম ক্রমে ক্রমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। চাহিদার কথা বিবেচনা করে, নানা জনের উন্নয়নের মাধ্যমে নানা ধরনের হারমোনিয়ামের উদ্ভব ঘটে। যেমন- খাড়া পাত হারমোনিয়াম, ডাবল রিড হারমোনিয়াম, স্কেল চেঞ্জার ইত্যাদি। বর্তমানে ভারতীয়দের সঙ্গীতচর্চার ক্ষেত্রে অন্যতম বাদ্যযন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।


সূত্র :