 গোড়ার 
দিকে বেশিরভাগই পদচালিত বেলো পদ্ধতির হারমোনিয়াম তৈরি হতো। এতে পায়ের সাহায্যে বেলো 
চালিয়ে হারমোনিয়ামের বাক্সের ভিতর বাতাস ঢুকানো হতো। এই সময়ের হারমোনিয়ামে পিয়ানোর 
মতো অক্টেভ সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি।
ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে হারমোনিয়াম সারা 
বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে, পাইপ অর্গ্যানের বিশাল 
দৈহিক আকার এবং দামের জন্য সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে স্থান পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। 
বহনযোগ্য এবং দামের স্বল্পতার কারণে, হারমোনিয়াম হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের নিত্য 
ব্যবহার্য গৃহোপকরণের মতো। একই কারণে হারমোনিয়াম ইউরোপ-আমেরিকার গির্জাগুলোতেই ধীরে 
ধীরে স্থান করে নিয়েছিল।  
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে হারমোনিয়াম নিয়ে 
আসে খ্রিষ্টান মিশনারিরা। এই হারমোনিয়ামগুলো ছিল ফ্রান্সের তৈরি এবং হস্তচালিত বেলো 
হারমোনিয়াম। কালক্রমে এই যন্ত্রটি সারা ভারতবর্ষের দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে 
ভারতবর্ষে এর নানারকমের উন্নয়ন ঘটে।
গোড়ার 
দিকে বেশিরভাগই পদচালিত বেলো পদ্ধতির হারমোনিয়াম তৈরি হতো। এতে পায়ের সাহায্যে বেলো 
চালিয়ে হারমোনিয়ামের বাক্সের ভিতর বাতাস ঢুকানো হতো। এই সময়ের হারমোনিয়ামে পিয়ানোর 
মতো অক্টেভ সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি।
ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে হারমোনিয়াম সারা 
বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে, পাইপ অর্গ্যানের বিশাল 
দৈহিক আকার এবং দামের জন্য সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে স্থান পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। 
বহনযোগ্য এবং দামের স্বল্পতার কারণে, হারমোনিয়াম হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের নিত্য 
ব্যবহার্য গৃহোপকরণের মতো। একই কারণে হারমোনিয়াম ইউরোপ-আমেরিকার গির্জাগুলোতেই ধীরে 
ধীরে স্থান করে নিয়েছিল।  
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে হারমোনিয়াম নিয়ে 
আসে খ্রিষ্টান মিশনারিরা। এই হারমোনিয়ামগুলো ছিল ফ্রান্সের তৈরি এবং হস্তচালিত বেলো 
হারমোনিয়াম। কালক্রমে এই যন্ত্রটি সারা ভারতবর্ষের দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে 
ভারতবর্ষে এর নানারকমের উন্নয়ন ঘটে।'অল্ইন্ডিয়া রেডিওর কর্ত্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত করেছেন যে, বেতারের আসরে গায়ক-গায়িকাদের তারের যন্ত্রের সঙ্গে গান গাইতে হবে; সঙ্গৎ-এর যন্ত্রস্বরূপ হারমোনিয়ম নিয়ে গান করা চল্বে না। এই নূতন ব্যবস্থায় বহু গারক- গায়িকার অসুবিধা হবে, এ আমরা জানি। কিন্ত আপাত-দৃষ্টিতে অসুবিধা বোধ হলেও অদূর ভবিষ্যতে সঙ্গীতের ক্ষেত্র কল্যাণকরই হবে এই পরিবর্ত্তিত বিধান। তারের যন্ত্রের সঙ্গে স্বরসাধন করলে কণ্ঠ যেরূপ সুরেলা হয়, হারমোনিয়মে সেরূপ আশা করা যায় না। হারমোনিয়মে নির্দ্দিষ্ট কড়ি ও কোমল অনুযায়ী কণ্ঠ চালনায় রাগ-রাগিণীর বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ণ হয়। কারণ সুরের সূক্ষ্ণতা হারমোনিয়মের বাঁধা-ধরা সংকীর্ণ পথ দিয়ে বেরোতে পারে না। সঙ্গীতের এই সংস্কারের দিকে অল্ইন্ডিয়া রেডিও মনোযোগী হ'য়েছেন। স্বল্পকালের মধ্যে এই নূতন নিয়ম প্রতি বেতার কেন্দ্রেই প্রচলিত হবে। আশা করি, আমাদের সঙ্গীত-শিল্লীরা এই উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত ক'রে তোলবার জন্য সর্ব্ব প্রকারে সহযোগিতা করতে কুণ্ঠিত হবে না।'
বেতার জগতের দ্বিতীয় বার্তা
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ ৩য় সংখ্যার 'আমাদের কথা' বিভাগে [পৃষ্ঠা: ১১৫] 'বিনা 
হারমোনিয়ামে গান' শিরোনামে দ্বিতীয় বার্তা প্রকাশ করা হয়। এই বার্তার বলা প্রতিবেদনে বলা হয়-
'বেতারের আসরে বিনা হারমোনিয়মে গান গাওয়া! সন্বন্ধে আমরা গতবারে আলোচনা করেছি। এই নিয়মটি বলবৎ হবে আগামী ১লা মার্চচ' থেকে । আমাদের সঙ্গীত-শিল্পীবৃন্দের কাছে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রেরিত হয়েছে, আশা করি, তাঁরা এ পত্র পেয়েছেন।বেতার জগতের তৃতীয় বার্তা
'এই নূতন বাবস্থায় বহু গায়ক-গায়িকার যে অসুবিধা হবে, তা সাময়িক। এমন অনেক সুগায়ক আছেন, যাঁদের গানের সঙ্গে তানপুরায় সুর দেওয়া হয় কিন্তু নিজে হারমোনিয়মটি. না বাজিয়ে গাইলে তিনি তৃপ্তি পান না। আবার এমন অনেক সুকঠ গায়ক-গায়িকা আছেন, যাঁরা কখনো হারমোনিয়ম ছাড়া চলেননি। এই দুই শ্রেণীর সঙ্গীত-শিল্পীরা কিছুকাল নিয়মিতভাবে তানপুরায় গাওয়া অভ্যাস করলেই তাঁদের হারমোনিয়মের
অভাব-বোধ-জনিত অসুবিধা ভূগতে হবে না। কিন্তু এমনও অনেক গায়ক-গায়িকা আছেন যাঁরা হারমোনিয়মের সুরের প্রভাবের দ্বারা নিজের কণ্ঠের দৈন্য মোচন করেন । মুস্কিল হবে তাঁদেরই বেশী। তাঁদের নূতন ক'রে ম্বর-সাধনা ছাড়া আর গত্যন্তর নাই। আর এই স্বর-সাধনা তানপুরার সঙ্গে হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
'যাঁরা বেতারের আসরে গাইবার জন্য প্রতি শনিবারে সঙ্গীতের পরীক্ষা দিতে ইচ্ছা করেন তাঁরা যেন বিনা হারমোনিয়মে গান গাইবার জন্য প্রস্তুত হ'য়ে আসেন।'