মান্দ
সমার্থক নাম: মাণ্ড, মাড়।

উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। ভারতের রাজস্থান অঞ্চলের লোক সুর থেকে এই রাগের উৎপত্তি হয়েছে। রাজস্থানে শুষ্ক মরু অঞ্চলের এই লোকগান পরিবেশিত হতো কামাইচা নামক তারযন্ত্রের সাথে। এই রাগে কারণে একে সংকীর্ণ শ্রেণির রাগ বলা হয়।

এই রাগের নানা রূপ পাওয়া যায়। নিত্যানন্দ কর্মকার, তাঁর 'রাগ বিজ্ঞান অভিধান গ্রন্থে এই রাগের যে বিরণ দিয়েছেন- তা হলো-

আরোহণ:  স র ম প ধ র্স
অবরোহণ: র্স ন ধ প, ধপমগ, র গ স
ঠাট: বিলাবল
জাতি: ঔড়ব (গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত)-সম্পূর্ণ। আরোহণে দুই নিষাদ ব্যবহার করা হয়।
বাদীস্বর: ম
সমবাদী স্বর: স
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর

এর অপর একটি বিশেষ রূপ পাওয়া যায়। এই রূপটি হলো-
আরোহণ:  স গ র ম গ প ম ধ প ন ধ র্স
অবরোহণ: র্স ধ ন প, ধ ম পগ রগ স ধ ন ধপ

মাণ্ডের এই রূপকে অনেকে পৃথক রাগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  নিত্যানন্দ কর্মকার, তাঁর 'রাগ বিজ্ঞান অভিধান গ্রন্থে এই রাগকে মাণ্ড (মাংড) নামে তালিকাভুক্ত করেছেন। এর অপর নাম মাড়

রাজস্থানী লোকগানে অবরোহণে কোমল ঋষভ ব্যবহার দেখা যায়। এই রূপ কোনো কোনো মান্দ রাগে ব্যবহার করা হয়।