"এই রাগিণী উত্তরাঙ্গ প্রধান, অবরোহণের তীব্র নিখাদ গুপ্ত থাকে অর্থাৎ বর্জিত নয়, বিবাদী। অবরোহণে ধৈবতে আন্দোলনকালে কিছুটা ভৈরো ঠাটের জিলেফের আভাস আসে। ইহার গতি 'শোখ' অর্থাৎ চঞ্চল। ঝর্ণাধারার মত অবরোহণকালে ইহার চঞ্চলগতি ফুটিয়া উঠে। জলধারার মেঘরূপে পর্বতারোহণের মত ইহার গতি গম্ভীর ও শ্লথ এবং অবরোহণে গতি চঞ্চলা বলিয়া ইহার নাম নির্ঝরিণী।"এই রাগের আরোহণে ঋ, দ ও ন এবং অবরোহণে ন ব্যবহৃত হয়। তবে রঞ্জকতার প্রয়োজনে মাঝে মাঝে অবরোহণে 'ন' আগন্তক স্বর রূপে ব্যবহৃত হয়। সম প্রকৃতির রাগ জিল্ফ। বিশেষ করে অবরোহণে ' জিল্ফ্'- এর রূপ পাওয়া যায়।
আরোহণ:স প, গ ম প, র্স।
অবরোহণ: র্স,ণদ প, ম গ ম, ঋ স।
ঠাট: ভৈরব
জাতি: ঔড়ব-ষাড়ব
বাদীস্বর: পঞ্চম।
সমবাদী স্বর: ষড়্জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ প্রধান।
সময়: প্রাতঃকাল।
প্রকৃতি: গম্ভীর
পকড় : স প, গ ম প, ম গ ম, ঋ স, প্ স।
এই রাগে নিবদ্ধ কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান পাওয়া যায়। গানটি হলো−