বৃহদ্রথ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { রাজা |  হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক গ্রন্থ মহাভারতে মতে ইনি মগধের রাজা ছিলেন। তিনি কাশীরাজের দুই যমজ মেয়েকে বিবাহ করেছিলেন কিন্তু তাঁর যৌবন গত হওয়ার কারণে, ইনি সন্তান লাভে বঞ্চিত হন পরে সন্তান কামনায় ইনি চণ্ডকৌশিককে আরাধনা করেন আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে চণ্ডকৌশিক রাণীদের ১টি মন্ত্রপূত আম উপহার দেন বৃহদ্রথ এই ফলটি সমান দুইভাগে ভাগ করে উভয় স্ত্রীকে দান করেন যথাসময়ে রানীরা দুটি অর্ধাঙ্গের সন্তান প্রসব করেন এইরূপ সন্তান দেখে রানীরা ভীত ও দুঃখিত হয়ে তাঁদের দাসীর সাহায্যে এই সন্তানের অংশ দুটি শ্মশানে রেখে আসেন এই সময় জরা নামক এক রাক্ষসী এই দুটি খণ্ডকে কৌতুহলবশত একত্রিত করলে খণ্ড দুটি একত্রিত হয়ে পূর্ণতা লাভ করে এবং জীবিত হয়ে উঠে এরপর শিশুটি কাঁদতে শুরু করলে রাজা ও রানীরা শ্মশানে এলে- জরা নারী মূর্তি ধরে বৃহদ্রথের হতে সন্তানটি তুলে দেন এই সময় জরা ভবিষ্যৎ বাণীতে বলেন যে- এই শিশুকে জন্মের মতো দ্বিবিভক্ত করলেই এর মৃত্যু হবে জরা রাক্ষসী এই শিশুর দেহ যুক্ত করেছিল বলে- এঁর নাম রাখা হয় জরাসন্ধ জরাসন্ধ বড় হলে, বৃহদ্রথের এঁর হাতে রাজ্য সমর্পণ করে রানীদের নিয়ে বনে চলে যান