দিন
বানান বিশ্লেষণ:দ্+ই+ন্+অ
উচ্চারণ:
d̪in (দিন্)।
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত দিন> বাংলাদিন।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: দো (ছেদন করা) + ইন্ (ইনচ্), কর্তৃবাচ্য
পদ: বিশেষ্য অর্থ:
জ্যোতির্বিজ্ঞান মতে
পার্থিব সময় নিরূপক সময়-একক বিশেষ। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণনের জন্য যে সময় নেয়, তাকে সাধারণ অর্থে দিন বলা হয়। কোনো বিশেষ স্থানের বিচারে দিনের সময়-দৈর্ঘ্য হিসাব করা হয়। সারা বছর ধরে এই হিসাব একই রকম থাকে না। যেমন ডিসেম্বর মাসে দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩০ সেকেণ্ড। আবার সেপ্টেম্বর মাসে এই সময়-দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ২৩ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ৩৯ সেকেণ্ড। সাধারণভাবে দিনের সময়-দৈর্ঘ্যকে ধরা হয় ২৪ ঘণ্টা। এই সময়কে মোটা দাগে বলা হয় এক সৌর দিন। কিন্তু সাধারণভাবে যতক্ষণ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে দিন বলা হয়।

ভারতীয় মতে দিনের বিভাজন যেভাবে করা হয়, তা হলো−
৬০ ক্ষণ=১ লব
৬০ লব=১ নিমেষ
৬০ নিমেষ=১ কাষ্ঠা
৬০ কাষ্ঠা=১ অতিপল
৬০ অতিপল=১ বিপল
৬০ বিপল= ১ পল [২৪ সেকেন্ড]
৬০ পল=১ দণ্ড [২৪ মিনিট]
৬০ দণ্ড=১ অহোরাত্র [২৪ ঘণ্টা=১ দিন]
৬০ অহরাত্র=১ ঋতু
৬ ঋতু=১ বৎসর।
ভারতী মতে চান্দ্রমাসের দিনের নাম তিথি। এই মাস শুরু হয় প্রতিপদ থেকে। প্রতিপদ থেকে অমাবশ্যা পর্যন্ত হলো চান্দ্রমাসের প্রথম পক্ষ। এরপর অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ। কিন্তু সূর্য নামক নক্ষত্রের বিচারে নাক্ষত্রদিবস বিচার করা হয়, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। মূলত মহাবিষুব রেখার উপর একই রকম দুটি স্থানের মধ্যবর্তী সময় পার্থক্যকে বলা হয়- এক নাক্ষত্রদিবস। পৃথিবীর গড় নাক্ষত্রদিবসের পরিমাণ ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিটি ৪.০৯ সেকেণ্ড। আন্তর্জাতিকভাবে সৌরদিনের স্বীকৃত মান হলো- ৮৬,৪০০ সেকেন্ড।

বর্ষ গণনায় দিনের নামটি প্রাধান্য পায় না। এক্ষেত্রে মাসের দিন হিসাবে পরিচিতি পায়। যেমন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ। মাসের ক্ষেত্রেও দিনের সংখ্যাকেই বিবেচনা করা হয়। যেমন- মাঘ মাসের ১০ তারিখ বা ১০ই মাঘ। দিনের নামকরণ আসে সপ্তাহের বিচারে। এক্ষেত্রে সপ্তাহের কততম দিন তার পরিবর্তে দিনের নাম উল্লেখ করা হয়।  মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে বাড়তি তথ্য হিসেবে দিনের নাম ব্যবহৃত হয়। যেমন− বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০১৩, ১৩ ভাদ্র ১৪২০, ২০ শাওয়াল ১৪৩৪।

সপ্তাহের দিনের নাম একটি অনুক্রমে সাজানো থাকে। সপ্তাহের আরম্ভ যে দিন থাকে, সপ্তাহের শেষে সেই নামটি দিয়ে আবার নতুন সপ্তাহ শুরু হয়। যেমন−

সূত্র: