যোগসূত্র
প্রাচীন ভারতে
যোগশাস্ত্রকে যথাযথ অনুশীলনের জন্য, বহুবিধ বিধি বা সূত্র সৃষ্টি হয়েছিল। ধারণা করা
হয়,
খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় বা তৃতীয়
শতকে পতঞ্জলি নামক জনৈক ঋষি যোগসূত্রগুলো একত্রিত করে,
একটি পৃথক শাস্ত্রে রূপ
দেন। পতঞ্জলির যোগসূত্রগুলো- চারটি পাদে বিভক্ত।
এই পাদগুলো হলো—
যোগপাদ : সাধারণভাবে যোগের বিভিন্ন
বিধির একটি সঙ্কলন।
সাধনপাদ :
মূলত যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম,
প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ইত্যাদির দ্বারা সাধনা হয়। সাধনপাদে এই সকল সাধনার
বিষয়াদি বর্ণিত হয়েছে। মনের ইচ্ছা ও একাগ্রতা দিয়ে কোন বিশেষ শক্তি বা ক্ষমতাকে
আয়ত্ব করার প্রক্রিয়াই হলো সাধনা। পতঞ্জলির
যোগসূত্র গ্রন্থের সাধনপাদ অংশে,
সাধনা সম্পর্কে
বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
যম,
নিয়ম,
আসন,
প্রাণায়াম,
প্রত্যাহার,
ধারণ,
ধ্যান
ও
সমাধি
দ্বারা সাধনা করতে হয় সম্পন্ন হয়। আবার সাধনাকে চরিতার্থ করার জন্য রয়েছে সাধনবিধি।
এই বিধিগুলো হলো শোধন, দৃঢ়তা,
স্থৈর্য, ধৈর্য, লাঘব, প্রত্যক্ষ ও নির্লিপ্ত।
বিভূতিপাদ : যোগের দ্বারা যে
অতীন্দ্রিয় জ্ঞান লাভ করা যায় এবং তা প্রকাশ করা যায়, এই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
কৈবল্যপাদ :
এই পাদে মন ও বুদ্ধির উর্ধে উঠে,
নিজেকে আত্মস্বরূপে
প্রকাশ করার বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক