সূর্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {|
নক্ষত্র | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ  | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি : sun
সমার্থক শব্দাবলি শব্দাবলি : সূর্য
জ্যোতির্বিজ্ঞান চিহ্ন :

প্রধান ধারার একটি নক্ষত্র, যা সৌরজগতের গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে তাপ ও আলোর উৎস।
 

সৌরজগৎ-এর কেন্দ্রে অবস্থিত নক্ষত্ সূর্য ছায়াপথ নামক গ্যালাক্সি'র অরিওন (Orion) নামক বাহুতে অবস্থিত পৃথিবী থেকে এর গড় দূরত্ব ১৫২,১০০,০০০ কিলোমিটার (৯৪,৫০০,০০০ মাইল) সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে- ৮.৩১ মিনিট সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে ১১টি গ্রহ (৮টি বৃহৎ গ্রহ ও ৩টি বামন গ্রহ), অসংখ্য গ্রহাণুপুঞ্জ বেশ কিছু ধূমকেতু সূর্য এবং সূর্য-কেন্দ্রিক সদস্যদের নিয়েই গঠিত হয়েছে আমাদের সৌরজগৎ

 

বিগব্যাং -এর পরে, প্রায় ১৩,৬০ কোটি পূর্বে জন্মলাভ করেছিল ছায়াপথ নামক একটি গ্যালাক্সি। এই গ্যালাক্সি'র কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৫০০০ আলোকবর্ষ দূরে অরিওন (Orion) নামক বাহুতে, প্রায় ৫০০ কোটি বৎসর আগে বিশাল আকারের একটি মহাকাশীয় মেঘ জমাট বেঁধেছিল। আগেই বলেছি যে, ১৩৬০ কোটি খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দের দিকে ছায়াপথ নামক একটি গ্যালাক্সি তৈরি হয়েছিল। র এই গ্যালাক্সি'তেই ৪৬০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে সৃষ্টি হয়েছিল সূর্য ও সৌরজগৎ।

৪৬০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে সূর্যের পাশে কোনো নবতারার বিস্ফোরণের ফলে বা এর পাশ দিয়ে যাওয়া কোনো বৃহৎ নক্ষত্রের প্রভাবে সূর্য থেকে বিপুল পরিমাণ বস্তু ছিটকে পড়েছিল। এই ছিটকে পড়া একটি অংশ মহাকাশে পালিয়ে গিয়েছিল। আবার সূর্যের কাছাকাছি কিছু বস্তু আবার সূর্যের টানে সূর্যের বুকে আশ্রয় নিয়েছিল। বাকি অংশটুক সূর্যের আকর্ষণে বাধা পড়ে গিয়েছিল। এই বাধা পড়া অংশ সূর্যের মাধ্যাকর্যষণ শক্তিকে উপেক্ষা করে মহাকাশে পালিয়ে যেতে পারলো না। আবার সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের বুকে আশ্রয় নিতেই ব্যর্থ হলো। ফলে এরা সূর্যকে ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকলো। প্রথমাবস্থায় এই আটকে পড়া বস্তুপুঞ্জ সূর্যকে ঘিরে বলয় তৈরি করেছিল। কালক্রমে এই বলয়গুলো থেকে তৈরি হয়েছিল ছোটো-বড় নানা ধরনের মহাকাশীয় গোলক। কালক্রমে এই গোলকগুলো থেকে সৃষ্টি হয়েছিল গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু ইত্যাদি। আর এসব নিয়ে সূর্যের পরিবার তথা সৌরজগৎ।


সূর্যের অভ্যন্তরে
হাইড্রোজেন গ্যাস সংযোজিত হয়ে হিলিয়াম সৃষ্টি হয় এবং এই সূত্রে তৈরি হয় উত্তাপ ও আলো বর্ণালীর শ্রেণী অনুসারে এটি G2 শ্রেণীর অর্থাৎ হলুদবর্ণের নক্ষত্র ভরের বিচারে সূর্য বামন শ্রেণীর (V) এই কারণে এর বর্ণালী শ্রেণীর সংকেত হিসাবে লিখা হয় G2V প্রায় ১০০০ কোটি বৎসর আগে মহাকাশীয় নক্ষত্রের সমাবেশে এর ভ্রূণ সৃষ্টি হয়েছিল এরপর সূর্য স্থিতি অবস্থায় আসে ৫০০-৪৫০ কোটি বৎসরের ভিতরে।    

সূর্য প্রায় পূর্ণ-গোলকের মতো এর বিষুব অঞ্চলের ব্যাসের চেয়ে মেরু অঞ্চলের ব্যাসের পার্থক্য প্রায় ১০ কিলোমিটার এই কারণেই একে বলা হয় প্রায়-পূর্ণগোলক কিন্তু দূর থেকে দেখলে একে পূর্ণ গোলকই মনে হয় এটি একটি গ্যাসীয় গোলক হওয়ার কারণে, এর উপরিতল গ্রহগুলোর মতো সুনির্দিষ্ট অবস্থায় থাকে না গ্যাসের ঘনত্ব, অভ্যন্তরীণ অন্তর্মুখী-চাপ ও বহির্মুখী-চাপে এর উপরিতলের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটতে থাকে মূলতঃ এর আলোকমণ্ডলের প্রান্তীয় অংশ অনুসারে সূর্যের উপরিতলের পরিমাপ নেওয়া হয়

ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে এর দূরত্ব হলো-২.৫´১০১৭ কিলোমিটার (২৬,০০০ আলোক বর্ষ) পুরো ছায়াপথ নিজে আবর্তিত হচ্ছে সেই কারণে, সূর্যও নির্দিষ্ট গতিতে ছায়াপথের কেন্দ্র অনুসরণ করে ঘুরছে এক্ষেত্রে সৌরজগতের ঘূর্ণায়ামান গতি প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ২১৭ কিলোমিটার এই গতিতে সৌরজগ একবার সম্পূর্ণ আবর্তিত হতে সময় নেয় ২২৬,০০০,০০০ বৎসর অক্ষের উপর একবার ঘুরে আসতে সময় নেয়- পার্থিব সময়ের হিসাবে প্রায় ২৫ দিন, ৯ ঘন্টা,৭ মিনিট ১২ সেকেন্ড নিজ অক্ষের উপর এর ঘুর্ণন গতি প্রায় ৭১৭৪ কিলোমিটার/ঘন্টা

এর ব্যাস ১.৩৯২´১০৬ কিলোমিটার (পৃথিবীর প্রায় ১০৯ গুণ বড়।) এর উপরিতলের জায়গার পরিমাণ ৬.০৯´১০১২ পৃথিবীর তুলনায় এই জায়গার পরিমাণ দাঁড়ায় ১১,৯০০ গুণ বেশী এর ভর ১.৯৮৯১´১০৩০ কিলোগ্রাম অর্থাৎ এই ভর পৃথিবীর ভরের চেয়ে ৩৩২,৯৫০ গুণ বেশী এর আপেক্ষিক ঘনত্ব ১.৪০৮ গ্রাম/ঘন-সেন্টিমিটার (পানি এক) এর উপরিতলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ ২৭.৯ গ্রাম সূর্যের কেন্দ্রের ঘনত্ব প্রায় ১৫০,০০০ কেজি/মিটার এই ঘনত্ব পৃথিবীর পানির ঘনত্বের ১৫০গুণ বেশী বর্তমানে সূর্যের বস্তুপুঞ্জের বিশ্লেষণ করে ধারণা পাওয়া যায়, তা হলো-

 ‌                        হাইড্রোজেন          ৭৩.৪৬%             হিলিয়াম  ২৪.৮৫%
                         অক্সিজেন             ০.৭৭%               কার্বন      ০.২৯%
                         লৌহ                  ০.১৬%               নিয়ন      ০.১২%
                         নাইট্রোজেন           ০.১৯%               সিলিকন  ০.০৭%
                         ম্যাগনেশিয়াম         ০.০৫%
                 সালফার  ০.০৪%

সূর্যের অভ্যন্তরীণ গঠন প্রণালী অনুসারে সূর্যকে প্রধান ৩ টি ভাগে ভাগ করা হয় ভাগগুলি হলো-

 

কেন্দ্রমণ্ডল (Center zone): এই মণ্ডলে রয়েছে ঘন হাইড্রোজেন কোর এই অংশের বিস্তৃতি প্রায় ১৭৫ হাজার কিলোমিটার এই অঞ্চল বাইরে থেকে দেখা যায় না এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৩,৬০০,০০০ কেলভিন সূর্যের ভিতরের নিউক্লিয়ার ফিউশানের মধ্য দিয়ে হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম তৈরি হয় প্রতি সেকেন্ডে ৮.৯´১০ প্রোটন (হাইড্রোজেন নিউক্লে) সংযোজিত হয়ে হিলিয়াম নিউক্লে তৈরি হয় এক্ষেত্রে প্রতি সেকেণ্ডে সূর্যের অভ্যন্তরে ৪,২৬০,০০০ টন হাইড্রোজেন পরিবর্তন ঘটে এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন ফোটন কণা ও উত্তাপ ধারণা করা হয়, আগামী ৫০০ কোটি বৎসরের ভিতরে সূর্যের সকল জ্বালানী শেষ হয়ে যাবে এবং এরপর সূর্য একটি লাল বামন তারায় (red dwarf star)  পরিণত হবে
 

মধ্যাঞ্চল (Interior): কেন্দ্রমণ্ডলের উৎপন্ন তাপ ও শক্তি এই অঞ্চলে পরিবাহিত হয় এই অঞ্চলের প্রথমাংশে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় রশ্মি লক্ষ্য করা যায় এই কারণে মধ্যাঞ্চলের প্রথমাংশটুকু তেজস্ক্রিয়মণ্ডল (Radiative zone) বলে এই অংশটুকুর সীমা ধরা হয়- সূর্যের কেন্দ্র থেকে ০.২-০.৭ ভাগ পর্যন্ত এই মণ্ডলের আয়োনিত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম থেকে বিচ্ছুরিত ফোটন (photon)কণার মাধ্যমে তাপ ও আলো বাইরের দিকে প্রবাহিত হয় সৌরগোলকের ০.৭-১.০ অংশ পর্যন্ত এই মণ্ডলটির সীমা ধরা হয়
 

৩। পরিচালন মণ্ডল (Convection zone) : তেজস্ক্রিয়মণ্ডলের পরেই রয়েছে পরিচালন মণ্ডল (Convection Zone) এই মণ্ডলে সূর্যের অন্যান্য গ্যাস অত্যন্ত উত্তপ্ত হওয়ার কারণে, আয়নিত অবস্থায় দ্রুত উর্ধ্বমুখে সঞ্চালিত হতে থাকে এই সকল সঞ্চালিত উপাদানসমূহ পরবর্তী আবহমণ্ডলে প্রবেশ করে এই মণ্ডলের গভীর থেকে দানাদার গ্যাসীয় অংশ আবহমণ্ডলের অন্তর্গত আলোকমণ্ডলে সঞ্চালিত হয় এরূপ এক একটি দানার ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হতে পারে এই দানাগুলি দ্বারা আলোকমণ্ডলে গ্যাস ও তাপমাত্রা পরিবাহিত হয় 

সূর্যের আবহমণ্ডল (Solar atmosphere) : কার্যকারিতার বিচারে সূর্যের আবহমণ্ডল চার ভাগে বিভক্ত ভাগগুলি হলো-

আলোকমণ্ডল (Photosphere) : আবহমণ্ডলের প্রথম অংশ আলোকমণ্ডল এই অংশকেই দৃশ্যমান অংশ বিবেচনা করা হয় এই অংশের উপরের দিকে সূর্যালোক ও তাপ মুক্তি পেয়ে মহাকাশে ছুটে যায় এই মণ্ডলের তাপমাত্রা প্রায় ৬,০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড আলোকমণ্ডলের পুরুত্ব প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার এই মণ্ডলেই দৃষ্ট হয় সৌরকলঙ্ক 

 

সৌরকলঙ্ক

সূর্যের দিকে তাকালে সূর্যপৃষ্ঠে কিছু কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায় এই দাগকেই সৌরকলঙ্ক বলে খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দে চীনা জ্যোতির্বিদরা প্রথম সৌরকলঙ্ক শনাক্ত করেছিলেন ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দে গ্যালিলিও তাঁর নব আবিস্কৃত টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম সৌরকলঙ্ক প্রত্যক্ষভাবে জনসমক্ষে উপস্থাপিত করেন এরপর ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী জোসেফ ভন ফ্রাউনহফার (Joseph von Fraunhofer) সূর্যের আলোকতরঙ্গ ব্যাখ্যা করেন এরপর ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে আলোকতরঙ্গ সম্পর্কিত বিস্তারিত ব্যাখ্যা  উপস্থাপন করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজেক নিউটন (Sir Isaac Newton) এঁদের আলোকতরঙ্গের ব্যাখ্যায় জানা যায়  সূর্যের উপরিভাগের তাপমাত্রা প্রায় ৯৩০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট কিন্তু কখনো কখনো কোথাও কোথাও এই তাপমাত্রা  ৮১০০ ডিগ্রী ফারেহাইটে নেমে আসে ফলে কম উত্তপ্ত জায়গা হিসাবে উক্ত স্থানগুলো কালো দেখায় এই কালো দাগগুলো সর্বোচ্চ ৮০০০ কিলোমিটার বা ৫০০০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত দেখা যায় এর কেন্দ্রের গভীর কালো অংশকে বলা হয় প্রচ্ছায়া (Umbra) আর একে ঘিরে যে হাল্কা ছায়া দেখা যায় তাকে বলে উপচ্ছায়া (Penumbra) এই দাগগুলি অবশ্য বড় জোর কয়েক মাস থাকে, তারপর আবার মিলিয়ে যায় প্রতি ১১ বৎসর অন্তর এই দাগগুলি পরিবর্তিত হয়ে আবার ফিরে আসে সূর্যের ৩০ ডিগ্রী অক্ষাংশের কাছে এদের উৎপত্তি হয়ে বিষুব অঞ্চলে কলঙ্কগুলি সঞ্চালিত হয় এবং একসময় তা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়

 

সৌরকলঙ্ক অপেক্ষাকৃত শীতল হলেও এর চৌক্বকক্ষেত্র অত্যন্ত প্রবল হয়ে থাকে উল্লেখ্য যেখানে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে ১ গাউসের কম, সেখানে সৌরকলঙ্কে চৌম্বকক্ষেত্রের মান ২৫০০ পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায় এই সময় আকস্মিকভাবে এর আশপাশের আলোকমণ্ডলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এই সময় সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হতে থাকে ফলে আয়নিত (উচ্চ চার্জ যুক্ত কণা) প্রবল বেগে সূর্য থেকে মহাকাশে বেরিয়ে পড়ে সৌরঝড়ের তীব্রতা পৃথিবীর আয়নমণ্ডলে পর্যন্ত আঘাত হানেএ সময় পৃথিবীর রেডিও বার্তা বিঘ্নিত হতে থাকে
 

স্বল্প-তাপমাত্রা অঞ্চল (Temperature minimum) : আলোকমণ্ডলের উপরের দিকের ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত অংশকে এই অঞ্চল ধরা হয় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় ৪০০০ কেলভিন কার্বন মনোক্সাইড বা জলীয় কণার মতো কিছু সরল অণুর উপস্থিতিতে এই অঞ্চল শীতল হয়ে পড়ে

 

বর্ণমণ্ডল (Chromosphere) : আলোকমণ্ডলের পরে যে বর্ণময় গোলাপী আভাযুক্ত স্তর দেখা যায়, তাকে বর্ণমণ্ডল বলে আলোকমণ্ডলের তীব্রতার কারণে এই স্তরটি সাধারণ অবস্থায় দেখা যায় না একমাত্র সূর্যগ্রহণকালে এই অংশ দৃষ্ট হয়ে থাকে এই অঞ্চলের পুরুত্ব ২০০০ কিলোমিটার

 

ছটামণ্ডল (Corona) : বর্ণমণ্ডলের পরে যে বিস্তৃত শিখাযুক্ত স্তর দেখা যায় তাকে ছটামণ্ডল বলে এই শিখাগুলোর বর্ণ সাদা হয়ে থাকে সূর্যের বহির্মুখী চাপ এবং সৌর-বায়ু-প্রবাহের কারণে, বিশাল অগ্নিশিখা মহাকাশের দিকে প্রসারিত হয় করোনা মণ্ডলের তাপমাত্রা ৫,০০০,০০০ কেলভিন
 

সূর্য ও তাকে ঘিরে আবর্তিত মহাকাশীয় প্রাকৃতিক উপকরণ নিয়ে গঠিত মহাকাশীয়-সংগঠন, তার সাধারণ পরিচয় সৌরজগত