এই আমলে প্রাচীন গ্যালাক্সিগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। এর ভিতরে রয়েছে
আমাদের
ছায়াপথ নামক
গ্যালাক্সি । এর উদ্ভব হয়েছিল ১৩৬০ কোটি
খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে।
এই সময়ে
সৃষ্ট
নক্ষত্র থেকে বেরিয়ে আসা আয়োনিত কণায় মহাকাশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠছিল। লক্ষ্যণীয়
বিষয় হলো-
আণবিক মেঘ সৃষ্টির আগেই আয়োনিত পরমাণুতে মহাবিশ্ব ভরে উঠেছিল। আবার
আণবিক মেঘ থেকে
নক্ষত্র সৃষ্টির পর, আবার আয়োনিত পরমাণুর সৃষ্টি হতে শুরু করলো।
এর মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছিল একটি নতুন মহাজাগতিক অধ্যায়। মহাকাশবিজ্ঞানীরা এই
যুগকে
পুন-আয়োনিত আমল
(Reionization
ages)
নামে অভিহিত করে থাকেন।
প্রায় ১০০ কোটি বৎসর ধরে এই প্রক্রিয়াটি অব্যাহত ছিল। ফলে মহাকাশের পরিবেশ
পাল্টে গিয়েছিল। এই আমলের শুরুতে মহাকাশের তাপমাত্রা ছিল ৬০ কেলভিন। আর ১০০
কোটি বৎসর শেষে এর তাপমাত্রা নেমে এসে দাঁড়ালো ১৯
কেলভিন।
এই আমলেও নক্ষত্র সৃষ্টির প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। ফলে
আণবিক মেঘের আদি অণুগুলোর
সাথে আয়োনিত পরমাণুর যুক্ত হয়ে আণবিক মেঘগুলো নতুন রূপে বিকশিত হচ্ছিল। এই মেঘে
ছিল ক্ষুদ্রাকার অণু। মহাকাশবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন কসমিক ধূলিকণা
(Cosmic dust)
। এতে ছিল
আয়োনিত
গ্যাস,
হাইড্রোজেন ও
হিলিয়ামের
অণুসহ আন্তঃনাক্ষত্রিক নানাবিধ উপকরণ। যেমন-
কার্বন, জটিল জৈব-অণু,
ফরমালডিহাইড, পলিসাইক্লিক
এ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন
ইত্যাদি। এসব মিলে তৈরি হয়েছিল
নীহারিকা।
এই সময়েও
গ্যালাক্সি তৈরি প্রক্রিয়া
চলছিল।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এই সময়ে সৃষ্ট যে সকল
গ্যালাক্সির সন্ধান
পেয়েছেন, তার ভিতরে
GN-z11-কে
সর্বপ্রাচীন বিবেচনা করা হয়। এই গ্যালাক্সিটি সৃষ্টি হয়েছিল ১৩৪০ কোটি
খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে। নিচে এরূপ কিছু প্রাচীন গ্যালাক্সির তালিকা তুলে ধরা হলো
সূত্র: