অতি-পারমাণবিক কণা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { |
অতি-পারমাণবিক কণা |
কায়া
|
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
মৌলিক বা যৌগিক কণাগুলোর গঠন-প্রকৃতিতে
অনুসারে দুই ধরনের অতি পারমাণবিক কণা পাওয়া যায়। এই ধরণ দুটি হলো-
বোসন
আর
ফার্মিয়ন। নিচে এই সকল কণার আদি
স্তর থেকে শেষ স্তরের একটি বিন্যাস দেওয়া হলো।
অতিপারমাণবিক কণার ক্রমবিন্যাস
অতিপারমাণবিক কণা:
পরমাণুকে ভাঙলে যে সকল কণা
পাওয়া যায়।
বোসন
(boson):
এই কণা একটি কোয়ান্টাম দশা অনেকগুলো একসাথে থাকতে পারে। এদের ঘূর্ণন মান ১।
এই জাতীয় ৬ ধরনের বোসনের কথা জানা যায়। এগুলো হলো-
গেজ বোসন
(gauge
bosons): মৌলিক চারটি বলের ভিতর,
মহাকর্ষীয় বল
ছাড়া বাকি তিনটি বলের বাহক হলো গেজ বোসন। এই শ্রেণির বোসন কণাকে ৩টি ভাগে ভাগ
করা হয়। এগুলো হলো-
হিগস বোসন কণা
(higgs boson):
এক প্রকার বলবাহী
কাল্পনিক অতিপারমাণবিক কণা।
গ্রাভিটন (graviton):
মহাকর্ষ পরিবাহী
কণা।
উল্লেখ্য এটি একটি কাল্পনিক কণা।
ইংরেজি:
subatomic particles।
বস্তুজগতের অণুগুলো তৈরি হয়, পরমাণু দিয়ে। আর যে সকল কণা দিয়ে পরমাণু তৈরি হয়,
তাদের সাধারণ নাম অতি-পারমাণবিক কণা। আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতের বিচারে এরা
অতি-সামান্য জায়গা দখল করে। কিন্তু এরা কোয়ান্টাম কৌশলের বিধি মেনে পরমাণু গঠনে
বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এই কণাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ঘূর্ণন। অতিপারমণিবক কণার ঘূর্ণ
নির্ধারিত হয় এর দৃশ্যমানতার বিচারে। ঘূর্ণনের বিচারে এই কণাগুলোকে ৪টি ভাগে
ভাগ করা হয়।
ফার্মিয়ন (fermion): এই কণা একটি কোয়ান্টাম দশা অনেকগুলো একসাথে থাকতে পারে না। এদের ঘূর্ণন মান ১/২। ফার্মিয়নের মোট সংখ্যা ২৪টি।
অতি-পারমাণবিক কণার গাঠনিক ক্রমস্তর
অতি পারমাণবিক কণার আদি মৌলিক কণা হলো কোয়ার্ক। বিগব্যাং-এর ১০-৪৩ থেকে ১০-৩৬সেকেণ্ড সময়ের ভিতরে বৃহৎ একীকরণ অন্তঃযুগ (Grand unification epoch)-এ, মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ছিল ১০৩২ কেলভিন। ১০-৩৫ সেকেন্ডে এই তাপমাত্রা এসে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০২৭ কেলভিন। এই সময় তৈরি হয়েছিল মহাজাগতিক আদি কণাসমূহ। এই সময় তৈরি হয়েছিল-
সূত্র:
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। ১-৫ খণ্ড।
http://en.wikipedia.org/wiki/Atom