বোসন
বানান
বিশ্লেষণ:
ব্+ও+স্+অ+ন্+অ
উচ্চারণ:
[বো.শোন্]
[bo.ʃon]
শব্দ-উৎস:
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { |
অতি-পারমাণবিক কণা |
কায়া
|
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি:
boson।
এটি একটি
অতিপারমাণবিক কণার
শ্রেণি। বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান
(Bose–Einstein statistics) তত্ত্বে
উপস্থাপক
সত্যেন্দ্রনাথ বসু'র
নামানুসারে, পল ডিরাক এই কণিকার নাম
দিয়েছিলেন বোসন (boson)।
প্রকৃতিতে দুই শ্রেণির
অতিপারমাণবিক কণা'র
ভিতরে অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এর একটি হলো বোসন, অপরটি
ফার্মিয়ন । বোসন শ্রেণির
কণাগুলো একটি কোয়ান্টাম দশায় অনেকগুলো একসাথে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বোসন কণা
পাউলির বর্জন বিধি মেনে
চলে না।
কিন্তু
ফার্মিয়ন
কণা
পাউলির বর্জন বিধি মনে
চলে। ফলে
একটি কোয়ান্টাম দশা অনেকগুলো কণা একসাথে থাকতে পারে না। তাছাড়া বোসন কণার পূর্ণ
ঘূর্ণ দশা রয়েছে। পক্ষান্তরে
ফার্মিয়ন
কণার ঘূর্ণদশা ১/২।
বোসন কণার গঠন অনুসারে দুই ভাগে করা হয়।
ভাগ দুটি হলো− মৌলিক কণা (elementary
particles) ও যৌগিক কণা (composite
particles)।
মৌলিক কণা (elementary particles): যে সকল কণা বোসন কিন্তু একক কণা হিসেবে থাকে। এই জাতীয় ৬ ধরনের বোসনের কথা জানা যায়। এগুলো হলো-
গেজ বোসন (gauge bosons): মৌলিক চারটি বলের ভিতর, মহাকর্ষীয় বল ছাড়া বাকি তিনটি বলের বাহক হলো গেজ বোসন। এই শ্রেণির বোসন কণাকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো-
হিগস বোসন কণা (higgs boson): এক প্রকার বলবাহী কাল্পনিক অতিপারমাণবিক কণা।
গ্রাভিটন (graviton): মহাকর্ষ পরিবাহী কণা। উল্লেখ্য এটি একটি কাল্পনিক কণা।
যৌগিক কণা (composite particles): এই জাতীয় বোসন একাধিক মৌলিক কণা দিয়ে তৈরি হয়। এর ভিতরে মেশন (mesons) কে ধরা হয়।
সূত্র:
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। ১-৫ খণ্ড (ডিসেম্বর ২০০৫)।
http://en.wikipedia.org/