এ্যাল্কিয়োনাসিয়া
Alcyonacea
প্রাণিজগতের
অন্তর্গত
একটি বর্গ বিশেষ। ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দে
Lamouroux
এই বর্গের নামকরণ করেছিলেন।
এদেরকে কোমল প্রবালের আদিম প্রজাতির বর্গ হিসেবে বিবেচনা করা
হয়।
অন্যান্য প্রবালের মতো ক্যালসিয়াম কার্বোনেট
ঘটিত কঙ্কাল তৈরি হয় না। এই কারণে এদেরকে বলা হয় কোমল
প্রবাল। বর্তমানে এদের সকল প্রজাতি পাওয়া যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা আধা গ্রীষ্মমণ্ডলীয়
মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এদের পলিপগুলো যুক্ত হয়ে চাবুকের মতো লিকলিকে আকার ধারণ করে।
কারণ এদের এই চাবুকগুলো লম্বায় ২-৩ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রস্থে ২-৩
ইঞ্চির বেশি হয় না। এদের রঙ বেশ উজ্জ্বল। সাধারণত উজ্জ্বল লাল, হলুদ, নীলাভ লাল
বর্ণের দেখা যায়। বর্তমানে এদের প্রায় ৫০০ প্রজাতি সাগর তলে পাওয়া যায়।
৫৭ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই বর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল ৬টি উপবর্গের আদিম প্রজাতিসমূহ।
এগুলো হলো-
ক্যালাক্সোনিয়া
হ্যাক্সোনিয়া
প্রোটোয়াসায়োনারিয়া
স্কেলেরাক্সিনিয়া
স্টোলোনিফেরা
এছাড়া আরও
কিছু গোত্রের প্রজাতি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো-
-
এ্যাকান্থোয়াক্সিডি
-
হাইমেইডি
-
প্যারামুরিসেইডি
-
প্যারাস্ফিরাস্ক্লেরিডি
-
ভিগুইয়েরিয়োটিডি
সূত্র :
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। প্রথম খণ্ড।
২.
http://en.wikipedia.org/wiki/Eumetazoa
৩.
http://www.earthlife.net/inverts/ctenophora.html