|
প্রাণিজগতের অন্তর্গত
একটি শ্রেণি বিশেষ। ১৮৩৪
খ্রিষ্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী
Ehrenberg
এই শ্রেণির নামকরণ করেছিলেন।
এদেরকে প্রবালের আদিম প্রজাতিগত নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা
হয়।
গ্রিক শব্দ
Anthos
শব্দের অর্থ ফুল এবং এবং Zoios
অর্থ প্রাণী।
এদের জীবনচক্রে কেবলমাত্র পলিপ দশা উপস্থিত। মেডুসা দশা অনুপস্থিত। এরা
একাকী অথবা দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের সকল প্রজাতিই সামুদ্রিক। এদের উল্লেখযোগ্য
প্রজাতি হলো- Metridium
senil, Gorgoni verrucosa।
৬০.৫-৫৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে প্যারাহোক্সোজোয়া থাকের প্রজাতিগুলো ৩টি পর্বে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই পর্বগুলো হলো-নিডারিয়া পর্ব, বিলাটেরিয়া থাক ও প্লাকোজোয়া পর্ব।
নিডারিয়া পর্বের আবির্ভাবকাল ছিল ৫৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই পর্ব থেকে পর্বর্তী সময়ে আবির্ভুত হয়েছিল তিনটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এগুলো হলো- এ্যান্থোজোয়া, মেডুসিজোয়া ও মিক্সোজোয়া। এর ভিতরে এ্যান্থোজোয়া শ্রেণির উদ্ভব হয়েছিল ৫৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। পরে এই শ্রেণি থেকে উদ্ভব হয়েছিল তিনটি উপশ্রেণির প্রজাতিসমূহ। এই উপশ্রেণিগুলো হলো-
অক্টোকোরালিয়া: আবির্ভাবকাল ৫৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই উপশ্রেণির ভিতরে রয়েছে কোমল প্রবাল, নীল কোরাল, সি পেন ইত্যাদি।
সেরিয়ান্থারিয়া: আবির্ভাবকাল ৫৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
হেক্সাকোরাল্লিয়া: আবির্ভাবকাল ৫২.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই উপশ্রেণির ভিতরে রয়েছে পাথুরে প্রবাল ও সাগর-কুসুম।
সূত্র :
১. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। প্রথম খণ্ড।
২.
http://en.wikipedia.org/wiki/Eumetazoa
৩.
http://www.earthlife.net/inverts/ctenophora.html