হেক্সাকোরাল্লিয়া
Hexacorallia
প্রাণিজগতের অন্তর্গত
একটি উপশ্রেণি বিশেষ। এদেরকে প্রবালের আদিম প্রজাতির একটি শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করা
হয়।
এরা
দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের পলিপগুলো ৬টি স্তরে
বিন্যস্ত থাকে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই উপশ্রেণির ভিতরে রয়েছে পাথুরে প্রবাল।
এদের দেহকঙ্কালে রয়েছে কঠিন ক্যালসিয়াম কার্বনেটের উপাদান। এদের দ্বারাই সাগর তলে
প্রবাল প্রাচীর উৎপন্ন হয়।
৫২.৯ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
এ্যান্থোজোয়া পর্ব থেকে
এই উপশ্রেণির প্রবালের উদ্ভব হয়েছিল। পরে এই উপশ্রেণি
থেকে উদ্ভব হয়েছিল- প্রধান তিনটি বর্গের আদিম প্রজাতিসমূহ। এই বর্গগুলো হলো-
(Sea anemone)। আবির্ভাব কাল ৫২.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ।
এন্টিপ্যাথারিয়া (Antipatharia)
বর্গ: আবির্ভাব কাল ৫২.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই বর্গের প্রজাতিগুলো সাধারণভাবে
কণ্টক প্রবাল বা কৃষ্ণ প্রবাল বলা হয়।
কোরাল্লিমোর্ফারিয়া বর্গ
(Corallimorpharia): আবির্ভাব কাল
৫২.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। পাথুরে বা প্রবাল প্রাচীর তৈরিকারক প্রবালের একটি
নিকটবর্তী বর্গ।
জোয়ানথিডিস বর্গ (Zoantharia): আবির্ভাব কাল
৫২.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই বর্গের প্রবাল পাওয়া যায় প্রবাল প্রাচীর এলাকায়।
রুগোসা বর্গ (Rugosa):
আবির্ভাব কাল
৪৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। ২৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই বর্গের সকল প্রবাল প্রজাতি
বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
টাবুলাটা বর্গ (Tabulata
): আবির্ভাব কাল ৪৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। ২৮
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই বর্গের সকল প্রবাল বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
স্ক্লেরাক্টিনিয়া বর্গ
(Scleractinia): আবির্ভাব কাল
২৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই বর্গের প্রবলাদের সাধারণ নাম পাথুরে প্রবাল।